Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মানুষের আমিষ ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মাছ চাষে গুরুত্ব দিতে হবে’


৩১ অক্টোবর ২০২০ ২২:৩৯

ঢাকা: পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মাছ চাষে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদে অতীতের চেয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপাদন হয়েছে। ভবিষ্যতে কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন ১৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাঙামাটিতে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রে বিএফডিসি’র কার্যক্রম অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মৎস্য ব্যাবস্থাপনাকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সেটা সরেজমিনে দেখার জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধকালে অতীতে কখনও মৎস্যজীবীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হতো না। এবছর লেকে মৎস্য আহরণ বন্ধকালে মৎস্যজীবীদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও এটা অব্যাহত থাকবে। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষ যেমন মাছ পাবে, তাদের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূর্ণ হবে। এসব মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনকার লক্ষ্য কাপ্তাই হ্রদের ব্যবস্থাপনা। যাতে হ্রদের পরিবেশ দূষণ না হয়, অবৈধভাবে এখান থেকে মা মাছ বা পোনা মাছ যাতে কেউ ধরতে না পারে। আমরা পরিকল্পিতভাবে কাপ্তাই হ্রদকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করে এর ঐতিহ্য বাড়াবো। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করব।’

পার্বত্য অঞ্চলে মৎস্য উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তন শুধু দেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করেছে। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে, ইলিশ উৎপাদনে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে। তিনি মনে করেন দেশের বদ্ধ জলাশয় থেকে শুরু করে ছোট খাল, হাওর-বাওর, লেক, বিল সর্বত্রই মাছের চাষ হবে।’

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘যে জালে মাছের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ছোট মাছ ধরা পড়ে, মাছের পোনা নষ্ট হয়- এ জাতীয় কোনো জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না। যারা অবৈধ জাল ব্যবহার করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আসতে হবে। মোবাইল কোর্টে তাদের সর্বনিম্ন সাজা হবে এক বছরের কারাদণ্ড। এমনকি জরিমানাও হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুবই কঠোর।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সারাদেশে খাঁচায় মাছ চাষকে উৎসাহিত করছি। আর ক্রিক ব্যবস্থাপনায় মৎস্য চাষ নিয়ে ইতোমধ্যে একনেকে পরিকল্পনা পাস হয়েছে।’

বিএফডিসির চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পরে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেনমন্ত্রী। এরপর রাঙামাটি জেলায় মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাঙ্গামাটি নদী উপকেন্দ্রের গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় যোগ দেন তিনি।

আমিষ ও পুষ্টি গুরুত্ব চাহিদা মাছ চাষ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর