৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
৩১ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৪৯
বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ৩ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে। শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হয়। এ ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তারা গণমাধ্যমে আলাদাভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এর আগে মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খানের অনৈতিক ও হীন কর্মকাণ্ডের জন্য ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি ও কর্মবিরতি পত্র দেয়া হয়।
ইন্টার্ন ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশনের তিন দফা দাবি হলো- ডাঃ মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডাঃ মাসুদ খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এর সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা।
গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর রেজিষ্ট্রার ডাঃ মো. মাসুদ খান শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর দিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার
থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডাঃ মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
সবশেষ ৩০ অক্টোবর ডাঃ মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এবং আড়াই ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করে। এরই
ধারাবাহিকতায় শনিবার ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করে। এই বিষয়ে জানতে ডা: মাসুদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিলো। কিন্তু কোন পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান পরিচালক।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দেড়শ ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন এবং তাদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে রোগীরা।