গণপরিবহনের চালক-হেলপারদের জন্য ৪ নির্দেশনা ট্রাইব্যুনালের
১ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৫৬
ঢাকা: নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় হানিফ পরিবহনের ড্রাইভারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাাশি রায়ের অবজারভেশনে গণপরিবহনের চালক-হেলপার ও সুপারভাইজারদের জন্য চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক।
রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ড্রাইভার মো. জামাল হোসেন, সুপাভাইজার মো. জনি ও হেলপার ফয়সাল হোসেন।
রায়ের অবজারভেশনে বিচারক চারটি বিষয়ে উল্লেখ করেন বলেন, ‘ট্রাফিক আইন অনুযায়ী নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।’
চালক-হেলপার ও সুপারভাইজারদের জন্য ৪ নির্দেশনা
(১) চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদের গাড়ির দায়িত্ব দেওয়ার আগে আগে তারা মাদক সেবন করেছেন কি না তা জানতে ডোপ টেস্ট করাতে হবে। গাড়ি ছাড়ার আগে কাউন্টারে, রাস্তায় বিরতির স্থানে এবং গাড়ি গন্তব্যে পৌঁছার পর গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারের ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে।
(২) গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপাররা প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে কর্কশ ও অভদ্র আচরণ করেন। এক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই যাত্রীদের সাথে নম্র ও ভদ্ৰ আচরণ করতে হবে। এ জন্য গাড়ি চালানো ও যাত্রীদের সঙ্গে কাউন্সিলিংয়ের বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
(৩) মহাসড়কে প্রতি তিন কিলোমিটার পর পর গাড়ির চালক, সুপারভাইজার, হেলপার ও যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্রি আধুনিক বাথরুম ও টয়লেট স্থাপন করতে হবে। তবে এজন্য বাস মালিকরা সরকারের সড়ক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার নির্ধারিত হারে বার্ষিক চাঁদা প্রদান করবে।
(৪) মহাসড়কে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের উপর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। উল্লিখিত বিষয় সম্পর্কে বাস মালিক, ড্রাইভার, সুপারভাইজার, হেলপার ও যাত্রীদের সচেতন হবে হবে।