রায় শুনে খুশিতে কাঁদলেন পায়েলের বাবা-মা
১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৫৯
ঢাকা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় ড্রাইভারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ড্রাইভার মো. জামাল হোসেন, সুপাভাইজার মো. জনি ও হেলপার ফয়সাল হোসেন। নিহত পায়েলের রায় ঘোষণার আগে আদালত হাজির ছিলেন বাবা গোলাম মওলানা, মা কোহিনুর বেগম ও ভাই-বন্ধুরা।
এদিন দুপুর ১২.৫৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠে রায় ঘোষণার কার্যকর শুরু করেন। মূল আদেশের পূর্বে মামলার সম্ভব ঘটনা (এজাহার, জবানবন্দি, তদন্ত রিপোর্ট, আর্গুমেন্ট) সহ অন্যান্য বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেন। ওই সময় নিহতের বাবা- মাকে বার বার চোখের পানি মুছতে দেখা গেছে। পায়েলের বাবা গোলাম মওলানাকে অঝোরে কাঁদতে যায়।
রায় ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের পায়েলের বাবা-মা জানান, রায়ে তারা সন্তুষ্ট হয়েছে। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয় সেই প্রত্যাশা করছেন।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। অন্য দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী হজজাতুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের জোর করে হুমকি-ধমকি দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এ রায়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে হানিফ পরিবহনের (নম্বর ৯৬৮৭) বাসে চট্টগ্রাম থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী পায়েল ঢাকায় আসছিলেন। ভোরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। গত ২৩ জুলাই সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর সেতুর নিচে খালে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার মামা গোলাম সোরয়ার্দী বিপ্লব তিন জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।