ঢাকা: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামি ৫ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২ নভেম্বর) মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মজনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
গত ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর আগে ১৬ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার্জশিট জমা দেন।
মামলাটি গত ৬ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা হন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে। বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় সুযোগ বুঝে তাকে জাপটে ধরেন এক ধর্ষক। এরপর ফুটপাতের পাশের ঝোঁপে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় মজনু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনু এখন কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন:
কুর্মিটোলায় ধর্ষণ: ভুল সংবাদ ছাপানোয় ঢাবি শিক্ষার্থী কারাগারে
