হেফাজতের বিক্ষোভ, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী
২ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৩২
ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কারণে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কেই যান চলাচল বন্ধ ছিল। সমাবেশের জন্য কোনো সড়ক ছিল একেবারই ফাঁকা আবার কোনো সড়ক ছিল যানবাহনে ভরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকা এবং ফাঁকা সড়কে যানবাহন চলাচল না করায় জনসাধারণকে পড়তে হয় চরম বিপাকে। অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হয়। নারী ও শিশুদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভের কারণে সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকেই যানজট শুরু হয়। রাজধানীর মতিঝিল থেকে বিভিন্ন লিংক রোড, গুলিস্তান, পল্টন থেকে বিভিন্ন সড়ক, কাকরাইল, মৎস্যভবন, আব্দুল গণি রোডসহ আশেপাশের সব সড়ক বন্ধ থাকে। ফলে রাজধানীর সব সড়কে গাড়ি থেমে থাকতে দেখা যায়। ফ্লাইওভারগুলোতেও যানজটে আটকা পড়ে বাস, সিএনজি, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন।
হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ-সমাবেশকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য রাস্তাঘাট আগেই বন্ধ ও ডাইভারশন করে দেয় পুলিশ। যে কারণে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগেই সড়কে আটকে যায় সব যানবাহন।
হেফাজতের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী ও ঢাকা মহানগর হেফাজতে আমির নূর হোসেন কাসেমীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি দুপুর সোয়া ১২টায় বায়তুল মোকাররম থেকে ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও করার উদ্দেশে বের হয়। মিছিল শুরুর পর নিরাপত্তাজনিত কারণে পথচারীদের চলাচল আটকে দেয় পুলিশ। এতে সড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।
প্রায় চার ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় রাজধানীর বাড্ডা, মহাখালী, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, শাহবাগ, হানিফ ফ্লাইওভার, যাত্রাবাড়ী, বংশালসহ সব সড়কে আটকে থাকে গাড়ি। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও রাস্তায় আটকে থাকতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়াহেদুল ইসলাম জানান, ‘হেফাজতের ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কারণে সকাল থেকে যানজট তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের বেশকিছু সড়কে ডাইভারশন করতে হয়েছিল। সমাবেশ শেষ। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।’
এর আগে রোববার (১ নভেম্বর) শাহবাগ মোড়ে পরীক্ষা বাতিলসহ সেশনজটের প্রতিবাদে সাধারণ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কর্মসূচির কারণেও পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।