সব কর্মীর চাকরি খাওয়ার হুমকি গ্রামীণফোনের— অভিযোগ কর্মীদের
২ নভেম্বর ২০২০ ১৬:০২
ডঢাকা: গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদকে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কর্মীরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। কর্মীদের অভিযোগ, তাদের গ্রামীণফোন থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, আপনারা কোথাও কোনো আন্দোলন করবেন না। যারাই আন্দোলনে যাবেন, তাদের চাকরি থাকবে না।
এমন পরিস্থিতে চূড়ান্ত আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করছেন গ্রামীণফোন কর্মীরা। অবিলম্বে শ্রম প্রতিমন্ত্রী, শ্রম সচিব, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক, টেলিযোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কর্মীরা।
সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জিপি হাউজের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গ্রামীণফোন মিয়া মাসুদকে চাকরিতে পুনর্বহাল না করে উল্টো অন্যান্য কর্মীদের চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতে কর্মীরা এখন বাঁচা মরার লড়াইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। অচিরে গ্রামীণফোনের ম্যানেজমেন্টের প্রতি চাপ প্রয়োগের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা। কর্মীরা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
কর্মীদের দাবি, গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নে ৮ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদকে গত ২৭ অক্টোবর বিকেল ৫টায় এক ইমেইলের মাধ্যমে বেআইনিভাবে চাকরিচ্যুত করে গ্রামীণফোন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কর্মী ও গ্রামীণফোনের সাধারণ কর্মীরা মিয়া মাসুদকে স্বপদে পুনর্বহাল করার জন্য ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
মিয়া মাসুদকে চাকরিচ্যুতির পরদিন ২৮ অক্টোবর গ্রামীণফোন কর্মীরা জিপি হাউজের সামনে ও ২৯ অক্টোবর শ্রম ভবনের সামনে এবং ৩০ অক্টোবর গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। পরবর্তী সময়ে তারা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।
জিপিইইউয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ভয়কে শক্তিতে রূপান্তরিত করে মিয়া মাসুদকে স্বপদে পুনর্বহাল ও এই বেআইনি কর্মের জন্য গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে আমরা একটি যৌক্তিক আন্দোলন করছি। আমি অনুরোধ করব, আপনারা এই যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে থাকবেন।
এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের দাবি, মিয়া মাসুদকে চাকরিতে পুনর্বহাল না করে উল্টো গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ গত ১ নভেম্বর এক ইমেইলে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সকল ইউনিয়নের সদস্য ও নেতাকর্মীদের ভীতি প্রদর্শন করেন, যা মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, আইএলও কনভেনশন এবং শ্রম আইনের পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।