স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে
৩ নভেম্বর ২০২০ ০২:২১
ঢাকা: সারাবিশ্ব করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খেয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো করছে। করোনাকে ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। তবে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্য ইন্স্যুরেন্স চালু করতে হবে।
সোমবার ( ২ নভেম্বর) সারাবাংলা ফোকাস: কোভিড ১৯ এবং শীতকালীন প্রস্তুতি বিষয়ক আলোচনায় বক্তারা এ সব কথা বলেন। আলোচনায় অতিথি হিসেবে ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কৃতি সংগঠক এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী ও মেট্রোপলিটন লার্নিং ইন্সটিটিউট নিউইয়র্কের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাসুদুল হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সারাবাংলা ডটনেটের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এমএকে জিলানী।
অধ্যাপক ডা.লিয়াকত আলী বলেন, ‘ভ্যাকসিন আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে এলেও আমরা কখন পাবো সেটা নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই। প্রথমে রেমডেসিভার, প্লাজমা থেরাপি কার্যকর বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু কোনো মেডিসিনই এখনই কার্যকর হয়নি।’
লিয়াকত আলী আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দেশের হাসপাতালগুলোকে আরও সজ্জিত করতে হবে। আমেরিকার কথা ভাবলে, এই করোনায় দেখা গিয়েছে তারা আমাদের চেয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেশি এগিয়ে নয়। এ ছাড়া জরুরি যে কোনো ক্ষেত্রে প্রাইভেট স্বাস্থ্যখাত বেশি এগিয়ে আসে না। সেটা করোনায় আবারও প্রমাণিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটি হাসপাতালগুলো আরও উন্নয়ন করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও উন্নয়ন করতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জনবল, ম্যানেজমেন্ট আর কোয়ালিটি উন্নয়ন করতে হবে। আমাদেরকে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যেতে হবে। স্থানীয় প্রতিনিধি, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন, মিডিয়াকর্মী সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া শীতকালীন বিষয় নিয়ে কিছু কিছু আলোচনা হচ্ছে। সমন্বিত পদক্ষেপ সম্পন্ন হয়নি। প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের বাজেটের বেশির ভাগই চলে যায হাসপাতাল কেন্দ্রিক তথা জনবলে। তবে আমুল পরিবর্তন হয়নি কিন্তু আমি আশাবাদী হবে ‘
মাসুদুল হাসান বলেন, ‘করোনা নিয়ে যদি আমেরিকার সাথে তুলনা করি তাহলে বাংলাদেশ বেশ ভালো করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন যেখানে ব্যর্থ সেখানে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে। বাংলাদেশে প্রথম থেকে মৃত্যুর হার কম। সেই হিসাবে আমেরিকাতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত ফাইনালি কোনো ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে দেওয়ার মতো অবস্থায় যায়নি। ফাউচি আপাতত বলেছেন, একটা মেডিসিন দরকার। ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করলে তো মানুষই মরে শেষ হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া মেডিসিন বিক্রি হয় কিন্তু আমেরিকাতে এটা হয় না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্য ইন্সুরেন্স চালু করতে হবে। করোনা আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন দিয়ে আপাতত প্রতিরোধ করা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের সচেতন হওয়ার বিকল্প কিছু নেই। এছাড়া শীতকালীন সময়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আবেদন থাকবে, মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোঁয়া এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলা। আর করোনা আক্রান্ত কোন বাসা থাকলে সেটা এড়িয়ে চলা। বিদেশ থেকে যারা আসছে তাদের যদি সঠিক করোনা পরীক্ষা না হয় তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। আর শুধু ভ্যাকসিনের পেছনে দৌড়ালে হবে না।’
করোনা করোনা মোকাবিলা নভেল করোনাভাইরাস সারাবাংলা ফোকাস স্বাস্থ্যখাত