কল্যাণপুরের ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে অধিকতর চার্জশুনানি ১৪ ডিসেম্বর

ঢাকা: রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের মামলায় ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে অধিকতর চার্জশুনানি চান আদালত। আগামী ১৪ ডিসেম্বর এই চার্জশুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন।

এদিন মামলায় চার্জশুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরুর কথা ছিল। তবে কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজিরও করা হয়। পরে আদালত বলেন, এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আগে আরও শুনানি প্রয়োজন। পরে তিনি তার জন্য দিন নির্ধারণ করেন।

মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন— সালাহ্ উদ্দিন কামরান (৩০), রাকিকুল হাসান রিগ্যান (২১), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)। এদের মধ্যে ৯ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

২০১৯ সালের ১৮ জুলাই কল্যাণপুর জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ওই দিন আজাদুল কবিরাজ নামের পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। গত ৯ মে মামলাটি বিচারের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কে ‘জাহাজ বিল্ডিং’য়ে জঙ্গি আস্তানায় রাতভর অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক ঘণ্টার ওই অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত ও একজন আহত হন। তারা সবাই জেএমবি সদস্য বলে জানায় পুলিশ। ওই ঘটনার দু’দিন পর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শাহ জালাল আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়।

অভিযোগ গঠন কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা চার্জশুনানি. জঙ্গি আস্তানা জাহাজবাড়ি টপ নিউজ