শেষ মুহূর্তে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে’ ছুটেছেন ট্রাম্প-বাইডেন
৩ নভেম্বর ২০২০ ১৬:০২
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। এখন ভোটারদের কেবল অপেক্ষা, কখন তারা ভোট দিতে পারবেন নিজেদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ, নাকি ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে জো বাইডেন আসবেন হোয়াইট হাউজে— এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সময়ও এখন কমে এসেছে। আর এই উত্তেজনার শেষ মুহূর্তেও প্রচারণায় লেগে ছিলেন দুই প্রার্থী। শেষ সময়ে তাদের লক্ষ্য ছিল ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ বা সুইং স্টেটগুলো।
আজ মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট রাজ্যে শুরু হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই রাজ্যের বাসিন্দারাই প্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন নির্বাচনে। এর আগে, সোমবার (২ নভেম্বর) প্রচারণার শেষ দিনে দুই প্রার্থীই ছুটে বেড়িয়েছেন কয়েকটি রাজ্যে।
মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে বেশ কিছু রাজ্যেই ডেমোক্রেটদের আধিপত্য যেমন প্রশ্নাতীত, তেমনি কিছু কিছু রাজ্যে রিপাবলিকানদের আধিপত্য নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। এর বাইরে বেশকিছু রাজ্যই আছে যেগুলোতে কোনো দলেরই নেই একাধিপত্য। এই রাজ্যগুলোকেই বলা হয় ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ বা সুইং স্টেট।
বিবিসির খবর বলছে, সোমবার (২ নভেম্বর) দিনভর ট্রাম্প ও বাইডেনের প্রচারণার স্থল ছিল কয়েকটি ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ বা সুইং স্টেট হিসেবে রাজ্যগুলো।
এর মধ্যে সোমবার ট্রাম্প প্রচারণা শুরু করেন নর্থ ক্যারোলাইনাতে। এখানে প্রচারণায় ট্রাম্প বলেন, মার্কিন ইতিহাসে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে সফল বছর হবে আগামী বছর (২০২১)। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার প্রভাবে আগামী বছরে মার্কিন অর্থনীতি গত ৮০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসতে পারে।
নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে পেনসিলভ্যানিয়াতে যান ট্রাম্প। এরপর তিনি মিশিগানের ট্র্যাভার্স সিটি ও উইসকনসিনের কেনোশা শহরে র্যালিতে অংশ নেন। মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে র্যালি দিয়ে সোমবারের মতো প্রচারণা শেষ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে প্রচারণায় শেষ বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, আমরা গতবারের মতো এবারও খুব সহজেই মিশিগানে জিতে যাব। তবে এবার যেন ব্যবধানটা একটু বেশি হয়, সেটুকুই আপনাদের কাছে চাওয়া।
প্রচারণার শেষ দিন পেনসিলভ্যানিয়া আর ওহাইওতে সময় কাটিয়েছেন বাইডেন। পেনসিলভ্যানিয়ার পিটসবার্গে তার প্রচারণায় চমক হিসেবে হাজির হন লেডি গাগা। পরে ওহাইও’তে এক আবেগঘন বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, এই নির্বাচন হলো আমেরিকানদের আত্মা স্পর্শ করার নির্বাচন।
এই নির্বাচন ট্রাম্পকে তার নিজের জায়গায় ফেরত পাঠানোর নির্বাচন বলে অভিহিত করেন বাইডেন। ট্রাম্পকে তল্পিতল্পা গুছিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘টুইট, ক্ষোভ, ঘৃণা, ব্যর্থতা আর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার সঙ্গে আমাদের বসবাসের সময় এখন শেষ।’
কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প–বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রার্থীই গাদা গাদা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন। তবে খুব সংক্ষেপে যদি বলতে হয়— ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় বলেছেন অর্থনীতিতে জাগিয়ে তোলার কথা। তার প্রতিশ্রুতি— কর্মসংস্থান তৈরি করবেন, বাণিজ্যে মার্কিনিদের স্বার্থ সংরক্ষণ করবেন এবং বরাবরের মতোই অভিবাসন নিয়ে কঠোর অবস্থান ধরে রাখবেন।
এদিকে, ক্ষমতার বাইরে থাকা বাইডেনের প্রতিশ্রুতি— ক্ষমতায় এলে শ্রমবাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবেন, পরিবেশ সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার ফিরিয়ে আনবেন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে গুরুত্ব দেবেন।
জো বাইডেন ডেমোক্রেট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ রিপাবলিকান সুইং স্টেট