ব্রিজে উঠতে ভরসা বাঁশের সাঁকো
৪ নভেম্বর ২০২০ ০৯:১৭
সিরাজগঞ্জ: বাঁশের সাঁকো পার হয়ে উঠতে হয় ব্রিজে। এভাবেই শত শত মানুষ প্রতিদিন হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করে থাকেন। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় এই ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থায়নে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি এলাকায় রূপসী-পাকুরতলা সড়কে দুই বছর আগে সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু ৪০ ফুট কংক্রিট ব্রিজটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ঘাটাবাড়ি, পাকুরতলা, বাওইখোলা ও কুঠিরপাড়ার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে ব্রিজটি পার হচ্ছেন।
ব্রিজ দিয়ে চলাচলে জালালপুর গ্রামের আসাদ আলী, পাকুরতলা গ্রামের আব্দুল হামিদ, দুলাল শেখ, রবি চান ও আলম শেখ বলেন, ‘দুই বছর ধরে আমাদের যাতায়াতে চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুদের যাতায়াতে বেশি কষ্ট হচ্ছে।’
স্থানীয়রা আরও জানান, ব্রিজটি নির্মাণের পর দায়সারাভাবে সামান্য মাটি ফেলা হয়। ফলে বর্ষার শুরুতেই তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর দুই বছর ধরে স্থানীয়রা এ ব্রিজের দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপার করছেন। এতে কষ্ট করে যাতায়াত করা গেলেও অর্থদণ্ড লাগছে।
কুঠিরপাড়ার মুদি দোকানদার আমজাদ আলী বলেন, ‘দুই বছর ধরে এ ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় এ সড়ক দিয়ে সরাসরি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ধান, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ভারি বোঝা মাথায় করে পার হতে হয়।’ এজন্য ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি পাঁচ গ্রামের মানুষের।
জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির চাপে তা ভেঙে গেছে। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে আবারও মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙে গেছে। পানি সরে গেলে অতিদ্রুত মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।