মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় ইরফান ও তার দেহরক্ষী কারাগারে
৪ নভেম্বর ২০২০ ১৯:০১
ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় প্রধান আসামি ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার ( ৪ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মবিনুল ইসলাম ইসলাম দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৮ অক্টোবর ৩ দিন এবং গত ১ নভেম্বর দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
ইরফান সেলিম ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে। তিনি নিজেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
এর আগে, গত রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওয়াসিফ। মামলায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী ধাক্কা সামলে মোটরসাইকেল থেকে নামেন। এ সময় গাড়ি থেকে জাহিদ, দিপু ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিন জন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে নেমে আসেন এবং মারধর শুরু করে। তারা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রীকে ‘উঠিয়ে নেওয়া ও হত্যা’র হুমকি দেয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।