রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে ৩২টি অঞ্চলে কঠোর অবস্থানে ইসি
৫ নভেম্বর ২০২০ ০০:২০
ঢাকা: রোহিঙ্গারা যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারেন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দফতর ও সংস্থাকে সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম। এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩২টি বিশেষ অঞ্চলে নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে বিশেষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে ইসি কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার (৪ নভেম্বর) ‘রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধাপ্রাপ্তি ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন রোধ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও এনআইডি প্রস্তুতির প্রতিটি ধাপ ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম।
সভায় এনআইডি নিবন্ধন অনুবিভাগের এই মহাপরিচালক বলেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩২টি বিশেষ অঞ্চলে নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন বা নাগরিকত্ব সনদপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ ফরম পূরণ ও দাদা-দাদীর সই বিশেষ কমিটির কাছে উপস্থাপন করতে হবে। পরে বিশেষ কমিটি যাচাই-বাছাই শেষে নিবন্ধনযোগ্য নাগরিকের তালিকা তৈরির পর রেজিস্ট্রেশন ও ডাটা আপলোড কার্যক্রম শেষে ভোটার তালিকার প্রস্তুত করা হয়।
সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থের ওপরে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত দলিলপত্র অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সংস্থার কর্তৃপক্ষ ব্যক্তির নিশ্চিত হয়ে জন্ম নাগরিক সনদ দিতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষাগত সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর ও দফতরগুলোকে খুবই সচেতন হতে হবে।
সভায় অন্য বক্তরা বলেন, সব সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে রোহিঙ্গারা জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্ট কিছুই করতে পারবে না। রোহিঙ্গারা যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে না পারে, সেজন্য সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মত দেন তারা।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যুক্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩২টি বিশেষ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রসাশক ও বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, পাসপোর্ট অধিদফতরসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।