Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দুদকের মামলায় সাজার হার ৭৭ ভাগ’


৫ নভেম্বর ২০২০ ২০:৫৩

ঢাকা: দুদকের মামলায় চলতি বছরে সাজার হার ৭৭ ভাগ বলে জানিয়েছেন দুদকের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুদকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা হাজী সেলিমের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। এখনো কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তথ্য সংগ্রহ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া দুদক এখন সফল ও কার্যকরী প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে দুদকের মামলার সাজার হার ছিল ৩৭ ভাগ। এর পরের চার বছরে সাজার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ ভাগ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সাজার হার ৭৭ ভাগ।’

দুদক কমিশনার আরও বলেন, ‘মামলা পরিচালনার সময় আইনজীবীরা সব দিক খতিয়ে মামলা পরিচালনা করছে বলে সাজার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে ২৩ ভাগ সাজা হচ্ছে না, সেসব মামলার কোথাও না কোথাও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকছে। আমরা সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। মানি লন্ডারিং মামলার ক্ষেত্রে সাজার হার শতভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে।’

কমিশনার বলেন, ‘মামলা পরিচালনার সময় বিজ্ঞ আইনজীবী সাক্ষী এবং যেসব আলামত সঠিকভাবে উপস্থাপনের কারণেই আমাদের সাজার হার বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া দুদক যখন ব্যুরো ছিল তখন সেই মামলাগুলোও আমরা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছি। যদিও সেই মামলাগুলো অনেক পুরাতন। সেখানে অনেক ধরনের জটিলতা আছে তারপরও মামলার হার মোটামোটি ভাল। সামগ্রিকভাবে বলতে চাই যে, দুর্নীতি দমন কমিশন বর্তমানে করোনাকালীন সময়গুলোতে আমরা অনেক দক্ষতার সঙ্গে আমাদের কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুদকের মামলার বর্তমান সাজার হার ৭৭ ভাগ। তবে ২৩ ভাগ মামলার সাজা না হতেই পারে। সেখানে মামলার কোনো না কোনো পর্যায়ে হয়তো ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। এটা আদালতের বিবেচনার বিষয় এখানে আমাদের কিছু করণীয় নেই। বাংলাদেশে কোনো মামলাতে সাজার হার আমি মনে করি এই পর্যায়ে বেশি নেই। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কথা হচ্ছে মানিলন্ডারিং মামলায় আমাদের সাজার হার প্রায় শতভাগ। এখানে আমাদের শতভাগ সাফল্য আছে। আর বাকি মামলাগুলোতে হাজার হার না বাড়ার কারণ গঠনমূলক ত্রুটির কারণে। এছাড়া বিজ্ঞ আদালত যেভাবে বিচার করার মনোভাব করে হয়তো কোনো কোনো মামলায় হয়তো আমরা শাস্তিটা পাই না। কোনো কোনো মামলায় এমন প্রশ্ন থাকে যেগুলো আমরা যদি আপিল করতে যায়, কস্ট ইফেকটিভ হয় না। জনবল, অর্থের প্রয়োজন হয়। সেজন্য আমরা ছোট ছোট মামলাগুলোর আপিল বর্জন করি।’

দুদক মামলার হার ৭৭ হাজী সেলিম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর