Monday 07 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইয়াবার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র সরবরাহ, গ্রেফতার ২


৫ নভেম্বর ২০২০ ২১:৫০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যাদের একজনের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার দু’জন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহে যুক্ত। ইয়াবা ব্যবসার আয় দিয়ে অস্ত্র কিনে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিক্রি করে। আবার তাদের কাছে ইয়াবা সরবরাহের বিনিময়ে তারা অস্ত্র সরবরাহ করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুর রাজ্জাক (২১) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে মো. কামাল (৪০) নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারি কমিশনার মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ কর্মকর্তা রাইসুল সারাবাংলাকে জানান, গ্রেফতার আব্দুর রাজ্জাক ও কামালের বাড়ি টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে। তারা বাংলাদেশী নাগরিক, তবে কামাল লেদা ক্যাম্পে বসবসারত এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করেছেন। গ্রেফতারের সময় আব্দুর রাজ্জাকের কাছে একটি আমেরিকায় তৈরি পিস্তল ও দুটি ম্যাগজিন পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে রাজ্জাক জানান, তিনি ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে ইয়াবা পৌঁছে দিয়ে তার কাছ থেকে অস্ত্রটি সংগ্রহ করেন। সেটি কামালের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, রাজ্জাক ও কামাল সংঘবদ্ধ ইয়াবা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের প্রধান। তাদের সিন্ডিকেটে উখিয়া-টেকনাফে বসবাসরত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতা, যাদের স্থানীয়ভাবে মাস্টার বলা হয় তারাও আছেন। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন বাহকের মাধ্যমে রোগী সাজিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে, সাংবাদিক বা প্রেস লেখা গাড়িতে, জুতা-ব্যাগের ভেতরে বিভিন্ন কৌশলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা পাচার করে।

ওসি নেজাম বলেন, ‘বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে তারা মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনে। সেটা দেশের বিভিন্ন এলাকায় তারা পাচার করে। ইয়াবার বিনিময়ে রাজ্জাক ও কামাল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করে। আবার ইয়াবা বিক্রির টাকায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা রাজ্জাক ও কামালের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা একজন রোহিঙ্গা নেতার বিষয়ে তথ্য পেয়েছি, যার নেতৃত্বে অন্তঃত ১০০ জন আছেন। ওই রোহিঙ্গা নেতার নেতৃত্বে তারা ইয়াবা সংগ্রহ ও পাচার এবং অস্ত্র সংগ্রহে যুক্ত।’

এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার দু’জনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি নেজাম।

ইয়াবা রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর