তিন প্রজাতির ৭১০ বন্যপ্রাণী উদ্ধার, ৪ জনের কারাদণ্ড
৬ নভেম্বর ২০২০ ১৬:২১
সাভার (আশুলিয়া): সাভারের আশুলিয়া থেকে তিন প্রজাতির বিপুল বন্যপাখি উদ্ধার করেছে র্যাব। বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সহযোগিতায় টিয়া, ঘুঘু ও মুনিয়া মিলিয়ে ৭১০টি পাখি জব্দ করার পর অবমুক্ত করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
পাখিগুলো দেশের বিভিন্ন উপকূল ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিকার করা হয়েছে। অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার ও বিক্রির দায়ে চার জনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁন মিয়া, রহমত শেখ, উসমান গণি ও রফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে তিন প্রজাতির ৭১০ টি পাখি অবমুক্ত করা হয়।
সারওয়ার আলম বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের এটি একটি সফলতা বলে আমি মনে করি। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন আইন ২০১২ অনুযায়ী বিপন্ন প্রজাতির পাখি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিছু অবৈধ সংঘবদ্ধ চক্র দেশের বিভিন্ন উপকূল ও বগুড়া থেকে পাখি শিকার করে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসা করছে। এর আগেও আমরা অভিযান চালিয়েছি এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে আমরা ৪ জনকে আটক করেছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আমরা একটি বিষয় স্পষ্ট করতে চাই, এই পাখিগুলো আমাদের সম্পদ। পাখির মাধ্যমে প্রকৃতির ফুল-ফলের পরাগায়ণ হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। সুতরাং যারা এই অপরাধে যুক্ত থাকবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী বিক্রি করার অভিযোগ প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পদক্ষেপ কেমন- এমন প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার আলম বলেন, বন বিভাগের পাশাপাশি র্যাবের সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। বিশেষ করে যারা সরকার, রাষ্ট্র ও পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ড করবে তদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।