Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনার পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গুও


৭ নভেম্বর ২০২০ ০০:৫৩

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে বিপর্যস্ত বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশ, ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ মহামারির পাশাপাশি বাংলাদেশে নতুনভাবে ফিরে এসেছে ডেঙ্গু। মশাবাহিত এ রোগের প্রকোপ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস শেষে কমতে শুরু করলেও চলতি বছর নভেম্বর মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে।

সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা (আইইডিসিআর) শাখার এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান ডা. জাহিদুর রশীদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালীন এ সময়ে কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছে না। বাসায় বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে ডেঙ্গু রোগীদের সঠিক তথ্য মিলছে না। তাই কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক ডা. মো. কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত হিসাব অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৬ নভেম্বর সকাল ৮ টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। শুধুমাত্র রাজধানীতেই বর্তমানে ৪৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

বিজ্ঞাপন

২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেওয়ার পর ২০১৯ সালের জুন মাসেই ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়া শুরু হয় যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে জুলাই মাসেও। আগস্ট মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। পরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেও দেশে ১৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তবে পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও কমে আসে। ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৫ জন, মার্চ মাসে ২৭ জন, এপ্রিল মাসে ২৫ জন, মে মাসে ১০ জন, জুন মাসে ২০ জন, জুলাই মাসে ২৩ জন, আগস্ট মাসে ৬৮ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা বেড়ে যায়। অক্টোবর মাসে ১৬৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালে ভর্তি হয়। নভেম্বর মাসে এরইমধ্যে ৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে যার মধ্যে বর্তমানে ৪৬ জন চিকিৎসাধীন আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেব অনুযায়ী, ৩০ অক্টোবর ১৪ জন, ৩১ অক্টোবর ১১ জন, ১ নভেম্বর ১৫ জন। ২ নভেম্বর ১০ জন, ৩ নভেম্বর ১৪ জন, ৪ নভেম্বর ৯ জন, ৫ নভেম্বর ১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সাধারণত বর্ষাকালেই এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ দেখা দেয় বাংলাদেশে। যার তীব্রতা কমে আসে আগস্ট পরবর্তী সময়ে। তবে এবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অক্টোবর মাসে ভারী বৃষ্টির কারণে এডিস মশার প্রভাব বেড়েছে বলে মনে করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার।

অধ্যাপক কবিরুল বাশার সারাবাংলাকে বলেন, ‘অন্যান্য বছর কিন্তু অক্টোবর মাসে এতো বৃষ্টিপাত হয় না এবার যেমনটা দেখা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রেইনফল প্যাটার্ন চেঞ্জ হয়েছে। এ কারণে রোগের ধরনেও পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অক্টোবর মাসে কখনো পিক ছিল না। এবার অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়ার এটা বড় কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই দেশে সীমিত আকারে ছিল আর তাই অনেক মানুষ হাসপাতালে যায়নি। এ বছর যদি দেখা যায় তবে অনেক সাধারণ জ্বরের রোগীরাও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে যায়নি। তবে পরিস্থিতি একটু একটু করে স্বাভাবিক হয়ে আসার কারণে মানুষজন আবার হাসপাতালে যাচ্ছে। ফলে রোগী শনাক্ত হচ্ছে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে রিল্যাক্স থাকার কোনো সুযোগ নেই। আর তাই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সারা বছরই কার্যক্রম চালাতে হবে।’

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, এ বছর প্রায় পুরোটা সময় আসলে কোভিড-১৯ নিয়েই সবার চিন্তা ছিল। এটি নিয়ে ভাবতে গিয়ে অন্যান্য রোগের বিষয়ে আসলে তেমন আলোচনা হয়নি। তবে ডেঙ্গু রোগ এখন বাড়ছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। এটা বলা যেতে পারে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু রোগীর শনাক্ত বাড়ছে। কারণ ডেঙ্গু পিক টাইমে কিন্তু অনেকেই হাসপাতালে যায়নি কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে। আসলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যেতে হবে সারাবছর। এর কোনো বিকল্প নেই। সমন্বিতভাবে বিভিন্ন সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যেতে হবে।

প্রখ্যাত চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশে মার্চ মাসে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পরে একটা সময় পরে চলাচল সীমিত করে দেওয়া হয়। সে সময় আসলে মানুষজন সেইভাবে হাসপাতালে যায়নি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষজন হাসপাতালে যাচ্ছে। আর এ কারণে হয়তোবা এই সময়ে এসে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এর মানে এই না যে অন্য সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম ছিল। এই ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আসলে বছরব্যাপী কাজ করে যেতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড এখনও ডেঙ্গুঝুঁকিতে রয়েছে। এই শাখার এক জরিপে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ১০০টি এলাকায় (ডিএনসিসি ৪১টি এবং ডিএসসিসি ৫৯টি), দুই হাজার ৯৯৯টি বাড়িতে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের ওপর জরিপটি পরিচালিত হয়।

১৯ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দুই সিটি করপোরেশনে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় চালানো জরিপে বলা হয়েছে, উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

এসব ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এরমধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনের ভেতরে রয়েছে ১০, ১১, ১৭, ১৯, ২১, ২৩, ২৪, ২৯, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভেতরে রয়েছে ২, ৪, ৮, ৯, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮, ২৫, ৩৪, ৪০, ৪১, ৪৫ এবং ৫১ নম্বর ওয়ার্ড। তবে উত্তরে ১৭ নম্বর এবং দক্ষিণে ৫১ নম্বর ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।

ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি হলে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়। জরিপে দেখা গেছে উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৯ এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮টি ওয়ার্ডের ব্রুটো ইনডেক্স ১০-এর বেশি এবং দুই সিটির পাঁচটি ওয়ার্ডে কোনো এডিস মশা পাওয়া যায়নি।

জরিপে জানানো হয়, সর্বোচ্চ বিআই (ব্রুটো ইনটেক্স) ৪৩ দশমিক তিন পাওয়া গেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর, পাইকপাড়া ও মধ্য পাইকপাড়া এলাকায় এবং বিআই ৪০ পাওয়া গিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খিলক্ষেত, কুড়িল ও নিকুঞ্জ এলাকায় এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের মীর হাজারিবাগ, ধোলাইপাড় ও গেন্ডারিয়া এলাকায় সর্বোচ্চ বিআই ৪০ পাওয়া গেছে। এই তিনটি ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।

মৌসুম জরিপে প্রাপ্ত এডিস মশার পজিটিভ কনটেইনারে (পানির উপস্থিতিপূর্ণ) শতকরা হার বহুতল ভবনে ৫০ দশমিক ৬১ শতাংশ, নির্মাণাধীন ভবনে ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ, বস্তি এলাকাতে ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ, একক ভবনে ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং খালি জমিতে দুই দশমিক ৬৮ শতাংশ পাওয়া গেছে।

জরিপে এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলোর মধ্যে শতকরা হার বহুতল ভবনে ৫১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, নির্মাণাধীন ভবনে ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ, বস্তি এলাকায় ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, একক ভবনে ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং পরিত্যক্ত জমিতে দুই দশমিক ৯৪ শতাংশ লার্ভা পাওয়া গেছে।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এই রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে সেখানে ওষুধ ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে। এরইমধ্যে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। যেসব হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছেন সেই সব হাসপাতাল এবং আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির আশপাশে মশার ওষুধ স্প্রে করে আসার নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, গত বছর কোনো কোনো এলাকায় এইডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে এই ডেটাবেইজ আমাদের কাছে আছে। সে অনুযায়ী আবার সেসব জায়গায় মশার ওষুধ ছিটানো হবে। এ বিষয়ে নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে বৃষ্টির পর সেসব জায়গায় পানি জমতে পারে সেখানে যেন পরিষ্কার করে রাখে।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন বলেন, চলতি বছরের জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে ডিএনসিসি এলাকায় তিনটি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। চিরুনি অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য একটি অ্যাপসে সংরক্ষণ করা হয়। অ্যাপসে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হয়েছে। এ সকল স্থানে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আনা চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসির সর্বত্র নিয়মিত লার্ভিসাইডিং (মশার ডিম ও লার্ভা নিধনের কীটনাশক) ও এডাল্টিসাইডিং (উড়ন্ত মশা নিধনের কীটনাশক) অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু কী কী কারণে আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি সেটা আমরা অবজারভেশনে রাখছি। আগামী দিনগুলোতে কোনো চ্যালেঞ্জ আসলে কিভাবে আমরা সেটা ফেইস করব তা চিন্তা করছি।

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি নির্দেশনা দেওয়ার তো বিষয় নেই। তবে সিটি করপোরেশন মশা মারবে। কিন্তু আপনার বাসায় যদি আপনি মশা প্রজনন করেন তাহলে সিটি করপোরেশনকে দায়ী করার পূর্বে আপনি নিজেই দায়ী থাকবেন। আপনি তো অন্য নাগরিকের জীবন অতিষ্ঠ করতে পারেন না। নাগরিক তার নাগরিকত্ব ভোট করতে গিয়ে বা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে অন্যদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে না। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা মানুষকে সচেতন করছি।’

এডিস মশা করোনা কোভিড-১৯ ডেঙ্গু নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর