বঙ্গবন্ধুর লেখা বইয়ের পাইরেটেড কপি, নীলক্ষেতে ৪ জনের জেল-জরিমানা
৭ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৫২
ঢাকা: রাজধানীর নীলক্ষেত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত তিনটি বইয়ের পাইরেটেড কপি বিক্রির অভিযোগে চার বই বিক্রেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল জরিমানা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলা একাডেমি প্রকাশিত জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের পাইরেটেড ২০টি কপি জব্দ করা হয়েছে।’
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ মোতাবেক পাইরেটেড বই বিক্রির অভিযোগে নীলক্ষেত্রের বই বাজার প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সৈয়দ রবিউজ্জামানকে ১ বছর ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার কাছ থেকেই ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ের ১৫টি পাইরেটেড কপি জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে, নীলক্ষেতের ইসলামিয়া মার্কেটের চাঁদপুর বুক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে একটি কারাগারের রোজনামচা, একটি অসমাপ্ত আত্মজীবনী, একটি আমার দেখা নয়াচীন বইয়ের পাইরেটেড কপি জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চাঁদপুর বুক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ হামিদকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
একই মার্কেটের জিসান-১ বুক সেন্টার দোকান থেকে একটি অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পাইরেটেড কপি জব্দ ও বিক্রি করার দায়ে ১০ হাজার টাকা এবং জিসান-২ বুক সেন্টার দোকান থেকে একটি কারাগারের রোজনামচা বইয়ের পাইরেটেড কপি জব্দ ও বিক্রি করার দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলা একাডেমি আমাদের জানিয়েছে জাতির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বই পাইরেটেড করা হচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। এ বিষয়ে আমরা আরও তদন্ত করব। তাছাড়া অন্য যেকোনো নকল বইয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
বই বিক্রেতাদের উদ্দেশে পুলিশের এই উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘পাইরেটেড বই বিক্রি না করাই ভালো। কেননা এই বইয়ে প্রকাশকের কোনো দায় দায়িত্ব থাকে না। তাছাড়া বইয়ের লেখাও বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
জেল-জরিমানা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পাইরেটেড কপি ভ্রাম্যমাণ আদালত