মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশন বসছে সন্ধ্যায়
৮ নভেম্বর ২০২০ ১৩:১৬
ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে রোববার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হচ্ছে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ২১ অক্টোবর একাদশ জাতীয় সংসদের এই দশম অধিবেশনটি আহ্বান করেন। ২০২০ সালের পঞ্চম এ অধিবেশনটিকে মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশন হিসেবে আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে, ১৯৭৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ও ১৮ জুন সংসদে যে বিশেষ বৈঠক বসেছিল, সেখানে যুগোস্লাভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি বরাহগিরি ভেংকট গিরি ভাষণ দিয়েছিলেন।
অধিবেশনের প্রথমদিনের বৈঠকটি চলবে সাধারণ অধিবেশনের আদলেই। অধিবেশনের শুরুতে সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন এবং শোক প্রস্তাব উত্থাপন ও গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জারি করা অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করার লক্ষ্যে অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। সংসদ অধিবেশন না থাকাকালে অধ্যাদেশ জারির পর সংসদের প্রথম বৈঠকে সেটি উপস্থাপনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিশেষ অধিবেশনের মূল পর্ব শুরু হবে সোমবার। এদিন সন্ধ্যায় সংসদে স্মারক বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির ভাষণের আগে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ২০ মিনিটের ভাষণটি প্রচার করা হবে। রাষ্ট্রপতিও ভাষণটি শুনবেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে একটি প্রস্তাব আনা হবে। ঐ প্রস্তাবের ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে তা পাশ করা হবে। বিশেষ অধিবেশনটি চার কার্যদিবস চলতে পারে।
এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১০টি কর্মসূচি নিয়েছে জাতীয় সংসদ। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সারাদেশে ১ কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংসদ সদস্যরাও পালাক্রমে সংসদ ভবন চত্বরে বৃক্ষ রোপণ করছেন।
এ ছাড়া চলতি মাসে মুজিববর্ষের ওয়েবসাইট উদ্বোধন, স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস উদযাপন, মাসব্যাপী আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য দলিল প্রদর্শনী, ‘সংসদে বঙ্গবন্ধু’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান, শিশুমেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সংসদ সচিবালয়।