সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না: নিতাই রায় চৌধুরী
৮ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৪১
ঢাকা: সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পরিণতি শুভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।
রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগসহ সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রতিবাদে ‘বাংলাদেশ ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ছাত্র-যুব ফ্রন্ট’ ঢাকা মহানগর এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর আজকে যে অত্যাচার-নির্যাতন, তা শুরু হয়েছে সেই ৭২ সালে থেকেই। এখন এটা আরও তীব্রতর হয়েছে। সংখ্যালঘুরা আজকে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠছে।’
‘রানা দাস গুপ্ত-সিআর দাস-নিম ভৌমিকরা যে সংগঠন করে গিয়েছিলেন সেই সংগঠনের দায়িত্বে এখনো তারা আছেন। রানা দাস গুপ্ত একসময়ে এই আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করতেন। কিন্তু আজকে তারাও ফুঁসে উঠেছেন, প্রতিবাদ করছেন। আজকে বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে, তা পৃথিবী লক্ষ্য করছে, সারা দেশ লক্ষ্য করছে। এর ফল শুভ হবে না’— বলেন নিতাই রায় চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু এইটুকু বলতে চাই- সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চরম মূল্য দিতে হবে। আপনার পুলিশ, আপনার প্রশাসন এবং আপনার কুক্ষিগত বিচার ব্যবস্থা আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। পৃথিবীতে কেউ কোনোদিন রক্ষা পায় নাই। রক্ষা হিটলার পায় নাই, মুসলিনী পায় নাই, চেঙ্গিস খান, হালাকু খান পায় নাই, ইংরেজরা পায় নাই। অতএব আপনাকেও কিন্তু চরম মূল্য দিতে হবে।’
মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়জ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আজকে সারা দেশে ধর্মের দিক থেকে যারা সংখ্যায় কম তাদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, নিরাপত্তা নেই। এর পাশাপাশি যদি দেখি ধর্মের দিক থেকে যারা সংখ্যাগরীষ্ঠ তাদের প্রতিও সরকার উদাসীন। এখানে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নয়, সব একাকার হয়ে গেছে সরকারের কাছে। তারা ছাড়া, আওয়ামী লীগের দালাল ছাড়া আর কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ’
তিনি বলেন, ‘রামুতে কী হয়েছিলো? শেখ হাসিনার নির্দেশে সেখানে তাদের ভবন করে দেওয়া হয়েছে। কাঠের মন্দিরকে কংক্রিটের মন্দিরে পরিণত করা হয়েছে। কিন্তু রামুর সেই মন্দিরের প্রধান সেবায়েত বলেছেন, ভবন সুন্দর হয়েছে বড় আরাম লাগছে কিন্তু মনের মধ্যে কোনো শান্তি নাই। কারণ যারা আগুন দিয়েছে সেই আসামিরা আমার চোখের সামনে ঘোরাফেরা করছে।’
‘এই প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল দুঃখ করে বলেছেন যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়েদের সম্ভমহানি করা আওয়ামী লীগের সাংবিধানিক অধিকারে পরিণত হয়েছে। এগুলো তাদের কথা, আমাদের কথা নয়’— বলেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ছাত্র-যুব ফ্রন্ট ঢাকা মহানগরের সভাপতি সঞ্জয় গুপ্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী, বিএনপির নির্বাহী সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, অমলেন্দু দাস অপু, জয়দেব জয়, সুশীল বড়ুয়া, আকাশ ঘোষসহ অন্যরা।
নিতাই রায় চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান