Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বই উৎসব: ৩৬ কোটি বই পাবে শিক্ষার্থীরা, পাঠানো হচ্ছে সারাদেশে


৮ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৩৫

ফাইল ছবি

ঢাকা: নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে প্রতিবছর পালিত হয় বই উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। যথাসময়ে বই উৎসব পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে বই পাঠাতে শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এখন পর্যন্ত দেশের ৩৪ জেলার ১৬২টি উপজেলায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাথমিকের দেড় কোটি বই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বছর প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এনসিটিবি জানায়, তিন সপ্তাহ ধরে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই পাঠানো শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি বই ঢাকার বাইরে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দেড় কোটি বই যথাযথ কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে আরও দুই কোটি বই। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিকের জন্যও প্রায় এক কোটি বই পাঠানো হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বরের আগে সব মিলিয়ে আরও ৩২ কোটি বই পাঠানো হবে।

বিজ্ঞাপন

এ বছর প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৬ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবে প্রায় ১০ কোটি ৫৪ লাখ বই। এছাড়াও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা বই পাবে ২৪ কোটি ৪১ লাখ। আর এসব বই ছাপাতে সরকার খরচ করছে এক হাজার একশ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বই উৎসবটি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সবসময়ই চেয়েছি শিক্ষার্থীরা যেন বছরের শুরুতে নতুন বই হাতে পায়। এটি তাদের লেখাপড়ায় অনেক বেশি প্রেরণা জোগায়। এবার করোনার কারণে হয়তো সেভাবে উৎসব হবে না। তবে নতুন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা বই হাতে পাবে।’

তিনি জানান, নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে দিনরাত কাজ করছেন ছাপাখানার কর্মচারীরা। বই তৈরির পর ছাড়পত্র পাওয়ামাত্র জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা যেন আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে পারে সে ব্যাপারেও তাদের বলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বই ছাপানোর দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন প্রেসের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি। একই অভিযোগ এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকেও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি প্রেসের বইয়ে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটিও করেছি। এ নিয়ে এনসিটিবিতে মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা জানান জানান, কয়েকটি প্রেসে কাগজের মান ঠিক রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যদি সত্যতা পাই তাহলে ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, ‘এনসিটিবির কর্মকর্তারা নিয়মিত প্রেস মনিটরিং করছেন। আমাদের অগোচরে যদি কেউ নিম্নমানের কাগজ দিয়ে বই ছাপায় তাহলে সেটিকে আমরা অপরাধ হিসেবে গণ্য করব। এ বিষয়ে তাদের সামান্যতম ছাড় দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে সরকার নতুন বছরের শুরুতেই সারাদেশে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে আসছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ২৯৬ কোটি ৩৮ লাখেরও বেশি বই বিতরণ করা হয়েছে।

৩৬ কোটি বই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বই উৎসব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর