মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল যা ই হোক না কেনো, তা মেনে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। খবর ইরাবতি নিউজ।
রোববার (৮ নভেম্বর) রাজধানী নেইপিডোর যাবুথিরি পৌরসভাস্থ একটি ভোটকেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এর দিন দুয়েক আগে, সেনাপ্রধানের দফতর থেকে নির্বাচন আয়োজনে বেসামরিক সরকার এবং ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশনের (ইউইসি) নজিরবিহীন প্রস্তুতিহীনতার সমালোচনা করে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল।
তার সূত্র ধরেই, মিয়ানমার সেনাবাহিনী নতুন ক্যু করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ার করেছিলেন। এমনকি, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দমনের নামে সেনাবাহিনী রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছিল।
তবে, তার কয়েক দিন পর ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচনকে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করে, তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থাকার ঘোষণা দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
এদিকে সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং গণমাধ্যমকে জানান, তিনি সেই দলকেই ভোট দিয়েছেন, যারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে জাতি পরিচয় এবং ধর্মকে সমুন্নত রাখবে।
অন্যদিকে, প্রথমবারের মত সেনা কর্মকর্তারা ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পদক্ষেপ মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বিবিসি জানাচ্ছে, মিয়ানমারের দ্বি কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, রাজ্য এবং আঞ্চলিক সরকার নির্বাচনে এক হাজার ১৭১ আসনে ৯২ রাজনৈতিক দলের ছয় হাজার ৯০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন, শিন রাজ্যসহ অন্তত ৫৭ অঞ্চলের নাগরিকেরা এবার ভোট দিতে পারেননি। সে কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশন, এই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৯ নভেম্বর) নাগাদ নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। বুথ ফেরত জরিপে অং সান সু কি’র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টির এগিয়ে থাকার আভাস পাওয়া গেছে। এনএলডি’র সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে সেনা সর্মথিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)।