মিনি করমেলায় ১ মিনিটে রিটার্ন দাখিল
৯ নভেম্বর ২০২০ ১৮:০৬
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১০ বছর পর এবার হচ্ছে না আয়কর মেলা। তবে কর অঞ্চলগুলোতে হচ্ছে মিনি কর মেলা। আর এই মিনি করমেলায় মাত্র এক মিনিটে রিটার্ন দাখিল করা যাচ্ছে।
আয়কর মেলার জন্য সাধারণ করদাতারা প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে এবার সেটা হচ্ছে না। তবে আয়কর মেলা না হলেও কর অঞ্চলগুলোতে এক মিনিটে রিটার্ন দাখিল করা যাচ্ছে। যা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। করদাতারা কর অঞ্চলে যাচ্ছেন আর মিনিটেই রিটার্ন দাখিল করছেন। শুধু রিটার্ন দাখিল নয়, মুহূর্তের মধ্যে কর সংক্রান্ত সেবা, রিটার্ন পূরণ ও ই-টিআইএন সেবা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশের প্রতিটি কর অঞ্চলে এ সেবা পাচ্ছেন করদাতারা।
সোমবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি কর অঞ্চল ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে আয়কর মেলা না করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে মেলার মতো করেই দেশের সকল কর অঞ্চল ও সার্কেলগুলোতে কর সেবা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। যাতে করদাতারা রিটার্ন দাখিলসহ সব ধরনের সেবা পাবেন।
কয়েকটি কর অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ কর অঞ্চলে মেলার আদলে আলাদা বুথ করা হয়েছে। যাতে রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। করদাতা, সেবাগ্রহীতা ও কর্মকর্তাদের সংস্পর্শ এড়াতে করোনা প্রতিরোধী বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মাস্ক বাধ্যতামূলক করে বুথের সামনে সাঁটানো হয়েছে লিফলেট। করদাতাদের মাস্ক পরিধান ছাড়া সেবা দেওয়া হচ্ছে না। বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও সংক্রমণ রোধে মুখে মাস্ক পরিধান করেছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে আগত করদাতাদের দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার। এছাড়া রিটার্ন জমা দেওয়ার পরপরই দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে।
রাজধানীর কর অঞ্চল-১২ ঘুরে দেখা যায়, ভবনের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে পুরো কর অঞ্চল নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে। দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে উন্নয়নের চিত্র। কর তথ্য ও সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখান থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে আয়কর ফরম, চালান ফরম, নির্দেশিকা। রিটার্ন পূরণে করদাতাদের সহায়তা করা হচ্ছে।
সেগুনবাগিচায় কর অঞ্চল-১০ ঘুরে দেখা যায়, অফিসের সামনে ছয়টি রিটার্ন গ্রহণ বুথ করা হয়েছে। এছাড়া অপর একটি সার্কেলে আরও তিনটি বুথ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে বুথে গ্লাস লাগানো হয়েছে, যাতে করদাতা ও সেবাগ্রহীতা একে অপরের সংস্পর্শে না আসে। বুথের সামনে লেখা ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’।
এ বিষয়ে কর অঞ্চল-১০ এর কমিশনার মো. লুৎফুল আজীম বলেন, ‘সর্বোচ্চ করসেবা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করছি। করদাতারা স্বাচ্ছন্দে রিটার্ন দাখিল ও সেবা নিচ্ছেন।’
কর অঞ্চল-৫ গিয়ে দেখা যায়, মেলা উপলক্ষে খোলা হয়েছে তথ্যকেন্দ্র। কোথায়, কী সেবা পাওয়া যাবে সেখান থেকে তা নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। করোনা সতকর্তার সরকারি নির্দেশনা ও বিধি-নিষেধ টানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কর অঞ্চল-৫ এর কমিশনার সোয়ায়েব আহমেদ বলেন, ‘করদাতারা মেলার চেয়ে ভালো সেবা পাচ্ছেন। আমি ও আমার পুরো টিম তদারকি করছি। করোনা সংক্রমণ রোধে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’