Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না: ওবায়দুল কাদের


১০ নভেম্বর ২০২০ ১২:১১

ঢাকা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ভাবাদর্শের রাজনৈতিক দলের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবসে রাজধানীর গুলিস্তানে নুর হোসেন চত্বরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ভাবাদর্শকে ধারণ করে যে রাজনৈতিক দলের জন্ম তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাদের কাছে গণতন্ত্র ছিল, ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ভোটের গণতন্ত্র।”

বিজ্ঞাপন

বিএনপিকে গণতন্ত্রের পথে, রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন, গণতন্ত্রকে বিনষ্টের চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। ষড়যন্ত্র আর পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি পরিহার করুন। আসুন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হই।’

নূর হোসেনের স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেদিন নূর হোসেনের শরীর ছিল জীবন্ত রাজনৈতিক পোস্টার। তার বুকে ও পিঠে লেখা স্লোগানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল স্বৈরাচারের পতন এবং গণতন্ত্র মুক্তির প্রতিধ্বনি। পুলিশের গুলিতে ক্ষত-বিক্ষত শহীদ নূর হোসেনের দেহে লিপিবদ্ধ রক্তস্নাত স্লোগান রণধ্বনি পৌঁছে গিয়েছিল বাংলার প্রতিটি প্রান্তরে, প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে শহীদ নূর হোসেনের রক্তাক্ত ছবি গণতন্ত্রকামী বাঙালির মনে সাহস আর সংগ্রামের বহ্নিশিখা জ্বালিয়ে দিয়েছিল। নূর হোসেন হয়ে উঠেছিল সাহসের প্রতীক, গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী একজন বীর যোদ্ধা।’

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বলে দাবি করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সমাজমানসে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে আগামী প্রজন্মের মনে ৩০ লক্ষ শহীদের আকাঙ্ক্ষার অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উদার গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে সত্যিকারের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্দি গণতন্ত্র শৃংখল মুক্ত হয়েছে নূর হোসেনের রক্তে। গণতন্ত্র মুক্তি পেলেও প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান হোক এবারের নূর হোসেন দিবসের অঙ্গীকার।’

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের এইদিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান ধারণ করে শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের এই দিবসটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।

শহীদ নূর হোসেন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের গণতন্ত্রের কথা চেতনাবিরোধী রাজনৈতিক দল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর