ডিএনসিসির অভিযান: ৬৯ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা, ২ লাখ টাকা জরিমানা
১০ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৫৪
ঢাকা: নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় চলছে দশ দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান)। অভিযানে অষ্টম দিনেও ৬৯ স্থাপনায় এডিসের লার্ভার সন্ধান পেয়েছে পরিদর্শন টিম।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দিনভর ডিএনসিসির ১৩ হাজার ৬৪০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৬৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৭৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয় এবং জমে থাকা পানিতে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং অন্যান্য অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৩টি মামলায় ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে সংস্থাটি।
অভিযানে উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ৯৬৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৮৫৯টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ৩ হাজার ৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৭১৯টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শফিউল আজম এর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে চারটি মামলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৫৬৭টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ২২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৩৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময়ে আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তিনটি মামলায় মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৮১৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৬৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ১৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৭৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩৫৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৬৯টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৬৭০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৫৭০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩ টি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) এর অধীনে মোট ৭৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে ৫৪৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫০৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩১৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৮২১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ৬০০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।
চলমান চিরুনি অভিযান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।