Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংসদে আলোচনা: বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু


১০ নভেম্বর ২০২০ ২৩:৪৬

ঢাকা: জাতীয় সংসদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কেবল জাতীয় নেতা নন, তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। তার রেখে যাওয়া আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন পরিচালিত হয়। অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সরকারি দলের সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত ও তাহজীব আলম সিদ্দিকী এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম।

আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে কারা— জানতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি

আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নয়, ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। জন্মশতবার্ষিকীতে বলতে চাই— জাতির পিতা, এই জাতি কোনোদিন আপনাকে ভুলবে না। আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ আপনার কন্যা গড়ে তুলছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের মহান নেতা।

ডাকসুর তৎকালীন ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের মত-পথের ভিন্নতা ছিল। তারপরও আমরা এক হতে পেরেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আমরা ১১ দফায় (সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের) অন্তর্ভুক্ত করেছি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই— এটা আমরা লিখতে পারিনি। কেউ কেউ আপত্তি করেছিলেন। এজন্য আমরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার চেয়েছিলাম। তবে আমরা মনে করেছিলাম, এই দাবি এক দফায় চলে আসবে। ঠিকই পল্টনের জনসভার পর আন্দোলন এক দফায় পরিণত হলো।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি। আমি ওইদিন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা করেছি। তার স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি।

তিনি বলেন, মতিউরের মৃত্যুর পর সত্যিকার গণঅভ্যুত্থান শুরু হলো। মানুষ রাজপথে নেমে এলো। মানুষ সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করলো। আমরা ৯ ফেব্রুয়ারি পল্টনে জনসভার ডাক দিলাম। সেই জনসভার পর ছাত্র আন্দোলন চলে এলো এক দফায়।

আলোচনায় জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় নেপথ্যে যারা ছিলেন, তাদের পরিচয় উন্মোচন করতে ট্রুথ কমিশন গঠনের দাবি জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সংসদ অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনে যারা জড়িত ছিল, সেই প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদের মুখোশ পৃথিবীর সামনে উন্মোচন করতে ট্রুথ কমিশন গঠন করতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কারাগারে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করেন রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, আমার মনে আছে ১৯৬৬ সালে আমি যখন কারাগারে, আমাকে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। মোনায়েম খান আমাকে ডিভিশন দিলেন। আমার বাবা তখন স্পিকার। আমি তখন ডাকসুর ভিপি। মাত্র লেখাপড়া শেষ হয়েছে। সেই শীতের রাতে ঘটি-বাটি কম্বল জেল খানার সম্বল। প্রচণ্ড শীতে দেখলাম চাল চলে এসছে, ডিম চলে এসছে। কে পাঠিয়েছে? আমাদের উল্টোদিকের দেওয়ারিতে বঙ্গবন্ধু পাঠিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তিনি তার লেপ ও বালিশ— তাও পাঠিয়ে দিয়েছেন। একমাস ছিলাম। সেই সময় ঈদ ছিল। কারাগারের মধ্যে তার সঙ্গে ঈদ কাটিয়েছি। তার কারাগারের রোচনামচায় তা উল্লেখ আছে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, একইভাবে ১৯৬৭ সালে যখন আমরা জেলে গেলাম, তখন আমি রুমে ছিলাম, বঙ্গবন্ধু দেওয়ানিতে ছিলেন। সেই সময় রটে গিয়েছিল— বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হবে। জেলখানায় এরই মধ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি কামালউদ্দিন, সিকদারউদ্দিনদের নিয়ে আসা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ও আমার আরেকটি মামলা ছিল। আমাকে প্রায় প্রতিদিন বাইরে কোর্টে যেতে হতো। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জেলের রাজা। তাকে কেউ আটকাতে পারত না। তখন তিনি ওই গেটে এসে দাঁড়াতেন, আমাকে দিয়ে খবর পাঠাতেন। বাইরের খবর নিতেন। এ কথাটা আমি স্মরণ করছি এই কারণে যে— বঙ্গবন্ধু ওই সংকটকালে আমাকে বিশ্বাস করেছিলেন।

তিনি বলেন, আমার মনে আছে— ঈদের দিন তিনি আমার কাঁধে হাত রেখে ঈদের মাঠে গেলেন। তিনি যেতে যেতে আমাকে বললেন, ‘দেখ মেনন, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। ওরা ষড়যন্ত্র করছে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। কিন্তু আমি মাথা নত করব না।’ তার কিছুদিন পরেই ১৭ জানুয়ারি তাকে নেওয়া হলো ক্যান্টনমেন্টে, জেলখানায় আর রাখা হলো না। বাঙালি জাতির স্বাধীনতাই বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের স্বপ্ন ছিলো বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতার জন্য পৃথিবীর কোনো নেতাকে বঙ্গবন্ধুর মতো এত অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়নি। হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। উনি এখনো বেঁচে আছেন, বাংলাদেশে এসে দেখে যান— ১৭ কোটির জনসংখ্যার এ দেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, অন্য দেশকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। পরাজিত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টও এখন বলেন, বাংলাদেশের উন্নতির কাছে যেতে তাদের আরও ১০ বছর লাগবে।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জনক, জন্মদাতা। বিশ্বের মানচিত্রে সগর্বে নিজের স্থান নিতে সক্ষম হয়। জাতির পিতা শুধু এ দেশের নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের নেতা ছিলেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও এ দেশীয় কুচক্রীরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মানুষের ভাগ্যাকাশে অন্ধকারে নেমে আসে। এক সামরিক শাসনের পর আরেক সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হতে থাকে। সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গত ১০ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ এক নতুন মর্যাদা নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-স্বাধীনতা এক ও অভিন্ন। পাকিস্তান হানাদাররা স্বাধীনতা ঠেকাতে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা ঠেকাতে পারেনি। স্বাধীনতার পর মাত্র ১০ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতিকে পৃথিবীর অন্যতম একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে চরম দরিদ্র দেশকে আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন, বাংলাদেশ আজ উপচে পড়া ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর ষড়যন্ত্রকারীরা অনেক ষড়যন্ত্র করেছিল। খুনি মোশতাক, কুখ্যাত জিয়ারা ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল। জিয়াউর রহমান আসলে ছিল মূল ষড়যন্ত্রকারী। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতাকে আমরা রক্ষা করতে পারিনি, এই কলঙ্ক থেকে আমরা কোনোদিন মুক্ত হতে পারব না। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে কোনো ইতিহাস রচিত হতে পারে না। এ দেশকে বঙ্গবন্ধু পরিবার শুধু দিয়েই গেছে, এখনও দিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে অগ্রগতির মহাসড়ক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামে ২২ বার গ্রেফতার হয়েছেন, দীর্ঘ ১৪টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন, কখনো মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, কিন্তু নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি দিতে দ্রুত একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী খুনি জিয়াউর রহমান। মীর জাফরের মতো বেঈমান জিয়া-মোশতাকদের কারণে আমাদের বঙ্গবন্ধুকে হারাতে হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতে এবং স্বাধীনতার স্বপ্ন যেন বাস্তবায়িত না হয়, সেজন্যই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এরপর বঙ্গবন্ধুর খুনি, একাত্তরের গণহত্যাকারী, ধর্ষকদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারের হাত ধরে জাতির পিতার আদর্শ সারাবিশ্বে পতপত করে উড়ছে। রাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। কিন্তু নেপথ্যের খুনি ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার এখনো হয়নি। কারও মৃত্যু হলেও জাতির স্বার্থে নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারী সবার বিচার হওয়া উচিত। এ বিষয়ে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, অনেকে মুখে বললেও বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক পরিশ্রম করলেও সবার সহযোগিতা ছাড়া এই চেতনা বাস্তবায়ন অসম্ভব। তাই জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উপলক্ষে গত রোববার জাতীয় সংসদের বিশেষ এই অধিবেশন শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এই অধিবেশনে গত সোমবার বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে বিশেষ স্মারক বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরে জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার এই আলোচনা সমাপ্ত হবে।

আ ক ম মোজাম্মেল জাতির পিতা টপ নিউজ তোফায়েল আহমেদ বিশেষ অধিবেশন মুজিববর্ষ রাশেদ খান মেনন সংসদ অধিবেশন সাধারণ আলোচনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর