মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক অসুস্থ, হাজির হননি আদালতে
১১ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৩২
ঢাকা: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
বুধবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সফিয়ান ম. নোমানের আদালতকে নিয়াজ মোর্শেদের অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি অবহিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ফারুক মোল্লা।
নিয়াজ মোর্শেদকে আদালতে হাজির করতে হাজতি পরোয়ানা পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। চিকিৎসা শেষে সুস্থতাসাপেক্ষে আদালতে সোপর্দ করলে নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে হাজজি পরোয়ানা ইস্যু করা হবে বলে বিচারক আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, নিয়াজ মোর্শেদ গত ৪ অক্টোবর থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ডা. পরিতোষের অধীনে নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি কোমর থেকে পা পর্যন্ত অবশজনিত রোগে আক্রান্ত। মাইন্ড এইড হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হাসপাতালটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন বা অনুমতি ব্যতীত পরিচালিত হয়ে আসছিল। হাসপাতালটির মোট মালিক সাত জন। আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও মোছা. ফাতেমা খাতুন ময়নাসহ আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার নামে শুধুমাত্র অবৈধ অর্থ উপার্জনের জন্য হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আসামিদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অব্যবস্থাপনার কারণে ভিকটিম আনিসুল করিম মারা গেছেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে ঘটনার দুই দিনের মাথায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মঙ্গলবার বাকি ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সাত দিন করে রিমান্ড পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশ জানায়, অবৈধভাবে হাসপাতাল চালাতেন নিয়াজ মোর্শেদ। তার ইন্ধনেই সব ধরনের অবৈধ কাজ সেখানে হতো। এএসপি আনিসুল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি হাসপাতাল চালাতে ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। কিন্তু মাইন্ড এইড হাসপাতালে এর কিছুই ছিল না। স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো লাইসেন্সও ছিল না হাসপাতালটির। ফলে পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এএসপি হত্যার দায় এড়াতে পারেন না। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যা সংশ্লিষ্ট আরও অনেক কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আদালতে হাজিরা এএসপি আনিসুল করিম এএসপি আনিসুল হত্যা মাইন্ড এইড হাসপাতাল হাসপাতাল পরিচালক