Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতীয় সংগীতও পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে’


১১ নভেম্বর ২০২০ ২২:৩২

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ ও কর্মের মৃত্যু কখনো বাংলাদেশে হবে না। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক শক্তিশালী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর পাকিস্তানিদের খুশি করতে বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি জাতীয় সংগীতও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পারেনি।

বুধবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মুজিবর্ষের বিশেষ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ওপর আনীত প্রস্তাব সাধারণের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ইতিহাস বিকৃত করা আরম্ভ করল খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করল ওরা, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করে না। ইতিহাসকে কেউ চাপা দিয়ে রাখতে পারে না, ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে চলে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জিয়াউর রহমান এবং অন্যরা যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতার স্লোগান জয়বাংলাকে বাধ দিয়ে জিন্দাবাদ আরম্ভ করল। স্বাগতমকে বাদ দিয়ে.. বাংলাদেশ বেতারকে, রেডিও বাংলাদেশ, পাকিস্তানিদের খুশি করতে, যে আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি, দেখি আমরা বাংলাদেশকে তোমাদের সঙ্গে একত্রিত করতে পারি কি না, এমনকি জাতীয় সংগীতও পরিবর্তন করার চেষ্টা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট করার কাজ শুরু করেছিল, খুনি চক্র খালেদা জিয়ারা ক্ষমতায় এসে ওটাকেও বন্ধ করে দিল। তারপর এইবার ক্ষমতায় এসে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করেন। বিশ্বে আর কোনো দেশ ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে বলে আমার জানা নেই। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যে দেশ তার ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ বঙ্গবন্ধু বিশ্ব দরবারের পরিচিত করেছে। বাংলা ভাষা আজ বিশ্ববাসীর কাছে সমাদৃত ভাষা হিসেবে স্বীকৃত।’

বিজ্ঞাপন

শেখ সেলিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিরা ইনডেমনিটি দিয়েছিল। মোস্তাক ইনডেমনিটি দিল জিয়া সেটাকে পার্লামেন্টে পাস করে নিল। ইনডেমনিটি দিল নিজেদের রক্ষা করার জন্য। জিয়া-মোস্তাক বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ইতিহাস বিকৃত করা আরম্ভ করল। বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করল, বিজয় দিবস স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করে না। ইতিহাসকে কেউ চাপা দিয়ে রাখতে পারে না, ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে চলে। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক শক্তিশালী।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু আমাদের আত্ম পরিচয়ের ঠিকানা। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বঙ্গবন্ধু বাংলার আকাশ বাতাস পানি মানুষ ততদিন বঙ্গবন্ধু বাঙালির মণিকোঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু মৃত্যু হতে পারে, তার কর্মের এবং আদর্শের মৃত্যু কখনো বাংলাদেশে হবে না।’

শেখ সেলিম আরও বলেন, ‘১৯৯৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তখন রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে আন্তর্জাতিক ভাষা করার জন্য জাতিসংঘের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং জাতিসংঘ ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ১৯১ টি দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে।’

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর