‘এ মাসেই সারাদেশে হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন শুরু’
১২ নভেম্বর ২০২০ ০৯:৩৯
ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেছেন, বৃহস্পতিবারের (১২ নভেম্বর) মধ্যে বিভাগীয় পরিচালকদের তালিকা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে চলতি মাসেই তালিকা নিয়ে সারাদেশে অনুমোদিত এবং অননুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরিদর্শন শুরু করা হবে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে এক সভা শেষে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, সব জায়গাতেই অজুহাত আছে। আমি কোনো অজুহাত দিতে চাই না। আমার যে পরিমাণ জনবল দরকার সেটা নেই। তারপরও আমি চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি বিভাগ, জোন ওয়াইজ বের করে এ ধরনের হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার (অননুমোদিত) করতে হবে।
লাইসেন্সের বাইরে অজস্র হাসপাতাল রয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, এগুলোর হিসাব পেতে গত পরশু দিন ইমার্জেন্সি মিটিংয়ে প্রত্যেক বিভাগীয় পরিচালককে তিন কর্মদিবসের মধ্যে (বৃহস্পতিবার) তাদের এলাকার মোট লাইসেন্স এবং আন-লাইসেন্সের লিস্ট আমাদের দেবেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে লাইসেন্সসহ মোট ৬ হাজার ৬৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতাল ২ হাজার ১৩০টি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার টিন হাজার ৮৫৬টি, ব্লাড ব্যাংক ৮১টি।
মহাপরিচালক বলেন, সবগুলো পরিদর্শন করতে আমরা একটা জরুরি মিটিং করেছি। আমরা একটা কমিটি করেছি। প্রত্যেক এলাকার সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, সঙ্গে প্রশাসন। কারণ, আমরা একা এটা করতে পারবো না, এটার সঙ্গে প্রশাসন লাগবে, পুলিশের সাহায্য লাগবে, আইন প্রয়োগকারী ম্যাজিস্ট্রেটের সাহায্য লাগবে। তাদের নিয়ে আমরা এটা করতে পারবো। আশা করছি এ মাসের মধ্যে শুরু করতে পারবো।
তিনি বলেন, আপনারা-আমরা সবাই এ সমাজেরই মানুষ। আমরা যদি আমাদের সম্পৃক্ততাকে এসব হাসপাতাল থেকে সরিয়ে না আনি তাহলে এগুলো বন্ধ করা সম্ভব হবে না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরাই এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা যদি নিজে থেকে বিরত না হই, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই তাহলে বন্ধ এটা করতে পারবো না। এখানে আসলে আমরা বলতে আমি আমাদের সমাজের সকলকে বোঝাচ্ছি যারা অজান্তেই হয়তো প্রশ্রয় দিয়ে ফেলি।
এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যু নিয়ে মহাপরিচালক বলেন, যেকোনো মৃত্যু দুঃখজনক, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। একজন পুলিশ অফিসার এভাবে মারা যাবেন এটা কারোই কাম্য নয়। এ ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত, অনুতপ্ত।
তিনি বলেন, হাসপাতাল নামে যেটা চলছিল সেটার কোনো অনুমোদন ছিল না। মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক চিকিৎসা, দুটো আলাদা জিনিস আবার অনেক ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত। তারা বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনুমোদন ছিল না। কিন্তু মানসিক চিকিৎসা করতে হলে অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বন্ধ করে দিয়েছি।
সারাবাংলা/এসবি/এমআই