‘১২ নভেম্বর’কে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি
১২ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৩০
ঢাকা: ইতিহাসের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের দিন ‘১২ নভেম্বর’কে উপকূল দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ‘উপকূল ফাউন্ডেশন’ নামের এক সংগঠন। একইসঙ্গে নদীর গতিপ্রকৃতি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের প্রকৃতি পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারসহ আরও ৭টি দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ভয়াল ১২ নভেম্বর: উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ’ শীর্ষক এক গোলটেবিলে সংগঠনটির পক্ষে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হলো- রাষ্ট্রীয়ভাবে ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণা, উপকূল উন্নয়ন বোর্ড ও দ্বীপ উন্নয়ন বোর্ড গঠন। নদীভাঙন রোধে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, নদী শাসন, জিওব্যাগ, ক্রস ডেম বাঁধ, ব্লক ও ড্রেজিং ব্যবস্থা জোরদারসহ তদারকি। এছাড়া মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা, সরকারি উদ্যোগে এগ্রো বেইজড শিল্প-কারখানা সৃষ্টি, মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপসমূহ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে উপকূল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম আমীরুল হক পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ পলিসিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ডিজাইনের জন্য বৃহত্তর নদ-নদীগুলোর ক্ষেত্রে ২০০ বছর ও ছোট নদ-নদীগুলোর ক্ষেত্রে ১০০ বছর ফ্লাড রিটার্ন পিরিয়ড এবং নদী শাসনের জন্য বৃহত্তর নদনদীগুলোর ক্ষেত্রে ১০০ বছর ও ছোট নদ-নদীগুলোর ক্ষেত্রে ২০ বছর ফ্লাড রিটার্ন পিরিয়ড বিবেচনা করা উচিৎ।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মেজবাহ উদ্দিন, বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলামসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের এ দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘ভোলা সাইক্লোনে’ ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছিল ভোলা ও নোয়াখালী উপকূলে। রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, ভোলা ও পটুয়াখালী পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তুপে।