প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১২ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৫৬
ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এটা তাদের কথাতেই প্রতিফলিত হয়।’
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবার উপায় নেই’ মন্তব্যের জেরে তিনি একথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আজ ঢাকা উত্তরে এবং সিরাজগঞ্জে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত এক যুগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, তাকে জনগণের অন্য কোনো দলকে ভোট দেওয়ার কথা নয়। সুতরাং বিএনপি এই নির্বাচনে পরাজয় জেনেই অংশ নিয়েছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে সংস্কৃতি তারা লালন করছে, সাত সমুদ্র-তেরো নদীর ওপারের অনেকের সাথে এটি মিলে যাচ্ছে। আমি তাদের বলবো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিতে।’
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপিকে বলবো, তারা যে পথে হাঁটছেন, যেভাবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অতীতে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন— তা দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং আজও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপচেষ্টা, সেটিও মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।’
আমরা চাই দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ঘোচাতে এবং শক্তিশালী হতে পারছে না। বিএনপি যদি এই ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার না করে তাহলে বিএনপির পক্ষে কখনো আর জনগণের প্রিয় হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
ড. হাছান এসময় শহীদ নূর হোসেনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘শহীদ নূর হোসেন জীবন দিয়ে তার জীবন্ত পোস্টারকে চির অবিস্মরণীয় করে রেখে গেছেন। যে গণতন্ত্রকে বাংলাদেশে বারবার শিকলবন্দি করা হয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নূর হোসেনসহ আরও মানুষের রক্তের বিনিময়েই গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনে নূর হোসেনের জীবন্ত পোস্টার দেশের ইতিহাসে জীবন্ত হয়েই থাকবে, গণতন্ত্রের ইতিহাসে তার নাম সবসময় রক্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।’
সভায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী, শহীদ নূর হোসেনের ভাই আওয়ামী মোটরচালক লীগের সভাপতি আলী হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সাবেক ছাত্রনেতা মানিক লাল ঘোষসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।