আমিনবাজারে বর্জ্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবে সরকার
১২ নভেম্বর ২০২০ ২২:৩৬
ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো বর্জ্য দিয়ে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চীনা মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএমইসি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আমিনবাজার এলাকায় ২৫ বছর মেয়াদী ৪২.৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে। এতে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে এসব তথ্য সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, দেশে প্রথমবারের মতো বর্জ্য দিয়ে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আমিন বাজার এলাকায় ২৫ বছর মেয়াদী ৪২.৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। এতে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ‘এ কাজটি পেয়েছেন চীনের প্রতিষ্ঠান চীনা মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএমইসি)। এটা ইনসিনারিয়েশন পদ্ধতিতে বর্জ্য পোড়ানোর একটি প্ল্যান্ট। আমরা সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাবো। দেশে এটা নতুন ধরনের পদ্ধতি যেখানে বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। প্রতি কিলোওয়াট দাম পড়বে ১৮.২৯৫ টাকা।’
মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, বৈঠকে ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৮টি ক্রয় প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে সবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৫টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি, বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ৮টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ২৭১ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ২৯২ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৬২৮ কোটি ২১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক হতে ঋণ ৬৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন খুলনা জোনের খুলনা সড়ক বিভাগের আওতাধীন ‘দিঘলিয়া (রেলিগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের ১ম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর উপর ভৈরব সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩০২ কোটি ৭৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ টাকা। ব্রিজ নির্মাণসহ পূর্ণ কাজটি পেয়েছে ওয়াহিদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।