চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতার ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
১৩ নভেম্বর ২০২০ ২১:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: এলাকাভিত্তিক বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এক যুবকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তিনি যুবলীগ নেতা আলমগীর চৌধুরী আলো’র ছোট ভাই।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ সড়কে হামলার শিকার হন ওই যুবক। নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মারুফ চৌধুরী মিন্টু (৩২) নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার সালেহ আহমদ চেয়ারম্যান বাড়ির কামাল চৌধুরীর ছেলে। তার বড় ভাই আলমগীর চৌধুরী আলো নগরীর ২৮ নম্বর পাঠানটুলি ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
ডবলমুরিং থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) অর্ণব বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক বিরোধের জেরে রমজান আলী নামে এক যুবকের সঙ্গে দুইদিন আগে মিন্টুর ঝগড়া হয়। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি কমার্স কলেজ এলাকায় মিন্টুকে একা পেয়ে পেছন থেকে আঘাত করে রমজান। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মিন্টুর বড় ভাই আলমগীর চৌধুরী আলো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আগ্রাবাদ এলাকার মোস্তফা কামাল টিপু নামে একজন এবং তার অনুসারীদের দায়ী করেছেন। তিনি টিপুকে কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মোস্তফা কামাল টিপুর অনুসারী নাহিদ আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে যায়। কমার্স কলেজ এলাকায় নিয়ে টিপুর নেতৃত্বে রমজান আলীসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারধর করে। আমরা খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আজ (শুক্রবার) তার মৃত্যু হয়েছে।’
মিন্টু আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় পানি সরবরাহের ব্যবসা করতেন। তার একবছরের একটি ছেলে সন্তান আছে বলে আলো জানিয়েছেন।
আলমগীর চৌধুরী আলো চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আর মোস্তফা কামাল টিপু নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এ ঘটনার সঙ্গে যুবলীগের অভ্যন্তরীণ কিংবা রাজনৈতিক কোনো বিরোধের জের নেই বলে জানিয়েছেন নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ।