জবি শিক্ষার্থী তিথি সরকার কারাগারে
১৪ নভেম্বর ২০২০ ১৮:২০
ঢাকা: রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে একদিনের রিমান্ড শেষে তিথি সরকারকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর তিথি সরকারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিন তার স্বামী শিপলু মল্লিকের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর নরসিংদীর মাধবদীর পাঁচদোনায় স্বামীর এক দূরসম্পর্কীয় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তিথি সরকারকে এবং তার স্বামী শিপলু মল্লিককে রাজধানীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানান, গত ৩১ অক্টোবর সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি সরকারকে ‘হাত পা-বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে’ বলে একটি মিথ্যা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়। প্রকৃতপক্ষে সিআইডিতে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে গুজব রটনাকারী নিরঞ্জন বড়াল নামের একজনকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিরঞ্জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়।
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টায় পল্লবীর নিজ বাসা থেকে থানার উদ্দেশে তিনি বের হয়েছিলেন তিথি সরকার। এরপর ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।