‘ব্যবসায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে এডিআর পদ্ধতি অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী’
১৫ নভেম্বর ২০২০ ১৭:৫৩
ঢাকা: ঋণপত্র থেকে উদ্ভুত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিরোধ সমাধানে যেসব বিষয় উঠে আসতে পারে সেসবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রচলিত আদালত ব্যবস্থায় প্রতিকার চাওয়ার থেকে এডিআর পদ্ধতির অনুসরণ সহজ, অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী হতে পারে।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির মাধ্যমে ঋণপত্র (এলসি) বিষয়ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিরোধ মীমাংসা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে ওই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (১৫ নভেম্বর) ডিসিসিআইয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েবিনারে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ‘এডিআর পদ্ধতি অনুসরণ করে এসব নিষ্পত্তি করা গেলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি তথা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভবপর হবে। এ লক্ষ্যে ডিসিসিআই ও বিয়াক একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।’ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দুই পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঋণচুক্তির অসামঞ্জস্যগুলো দূর করে বাস্তবমুখী ও জনকল্যাণমূলক শর্ত সংবলিত ঋণচুক্তি প্রণয়নের ওপর জোর দেন তিনি।
বিয়াক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী বলেন, ‘গত এক দশক ধরে দেশের একমাত্র নিবন্ধিত এডিআর প্রতিষ্ঠান হিসাবে এডিআর পদ্ধতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিয়াক ভূমিকা রেখে আসছে। সালিশি ও মধ্যস্থতা কার্যক্রম দ্বারা এসব বিরোধ নিষ্পত্তি দ্রুততর ও অর্থ সাশ্রয়ী হয়ে থাকে এবং এগুলো নিষ্পত্তিতে বিয়াক তার নিজস্ব বিধিমালা প্রয়োগে সাফল্য অর্জন শুরু করেছে।’ তিনি ডিসিসিআই’র সঙ্গেহ এ বিষয়ে একযোগে কাজ করে বিশেষত ঋণচুক্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার ইতিবাচক ফল অর্জনে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)- দুবাইয়ের পরিচালক ও আইসিসি ব্যাংকিং কমিশন প্যারিসের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ভিনসেন্ট ও’ব্রায়ান আলোচনায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইসিসির কার্যক্রমের বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশে বিয়াক স্ব-উদ্যোগে প্রশংসনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। বাণিজ্যিক লেনদেনে দুপক্ষের মধ্যে সই হওয়া ঋণচুক্তিতে উভয়ের সুষম স্বার্থ সংরক্ষণ ও এসব চুক্তি লঙ্ঘনের অনভিপ্রেত ক্ষেত্রে বিয়াক ও ডিসিসিআই সাহায্যকারীর অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।’
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গ্রুপ লিগ্যালবিষয়ক বিভাগের প্রধান ব্যারিস্টার শাফায়াত উল্লাহর সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মিডল্যান্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান-উজ জামান, ডিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, স্ট্যন্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের চিফ অপারেটিং অফিসার খালেদ আজিজ, ডিসিসিআই’র এসডিজি ২০২০ বিষয়ক বিশেষ কমিটির আহবায়ক এম এস সিদ্দিকী, ডিসিসিআই’র সদস্য ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম এবং বিয়াক’র কাউন্সেল রুবাইয়া এহসান কারিশমা।