শিক্ষা উপমন্ত্রী দাম্ভিকতা দেখাচ্ছেন: মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ

ঢাকা: শিক্ষা উপমন্ত্রী ক্ষমতার ‘দাম্ভিকতা’ দেখাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির। রোববার (১৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ধুপখোলা মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাস্কর্যের নামে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি (ভাস্কর্য ) না বানানোর দাবি জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘যতটুকু বলেছেন ক্ষমা চেয়ে সাবধান হয়ে যান, নয়তো ঘাড় মটকে দিতে বেশি সময় লাগবে না।’

নওফেলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি বলেন, “শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। ‘বাড়াবাড়ি করবেন না, ঘাড় মটকে দেবো’ বলে বক্তব্য দিয়ে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন।”

তিনি বলেন, ‘উপমন্ত্রীর ঘাড় মটকে দেওয়ার বক্তব্য ঈমানদার জনতার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত বহন করে। সরকারের একজন মন্ত্রী হয়ে তিনি কি জনগণের সাথে কোনো রকম যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন? শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নিয়ে ধোলাইপাড় চত্বরের পরিবর্তে তৌহিদী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে নেতৃবৃন্দ মূর্তির বিষয়ে ইসলামের বিধি নিষেধ সম্পর্কে বক্তব্য দিয়ে এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা রক্ষায় ঈমানদার জনতা তাদের করণীয় সম্পর্কে বলেছেন।’

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘প্রয়াত আলহাজ্ব মহিউদ্দীন চৌধুরীর সন্তান হিসেবে নওফেলের উচিত ছিল মূর্তির পক্ষে ইসলামের নির্দেশনা থাকলে তা তুলে ধরা। নয়তো সরকার প্রধান বা সংশ্লিষ্টদের ওপরে ছেড়ে দেওয়া। তা না করে ঈমানদার জনতার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের উসকানিমূলক বক্তব্য দুঃখজনক। এমন বক্তব্য ঈমানদার জনতাকে আন্দোলিত করে দেশকে অস্থির করে তুলতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা উপমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের ঈমানদার মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। ঈমানদার জনতা মনে করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাবার ঐতিহ্য ভুলে কারও প্ররোচণায় এমন হুমকি-ধামকি দিয়ে কথা বলছেন।’

ইসলামি মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ দাম্ভিকতা শিক্ষা উপমন্ত্রী