Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাইডেনের জন্য সামনের সময়টা সুখকর নয়’


১৬ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৪৩

ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের অভ্যন্তরীণ অনেক ইস্যু নিয়ে এখন ব্যস্ত। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে সদ্যই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন। আগামী জানুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব নেবেন। তবে তিনি ক্ষমতায় এলেও যে যুক্তরাষ্ট্র রাতারাতি উদার রাজনীতির দেশে পরিণত হবে— এমনটি বলা যাবে না। আর বাইডেনের জন্যও সামনের সময় সুখকর নয়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে চলেছেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের ফল মেনে নিলেও ২০২৪ সালে ফের তিনি নির্বাচন করবেন। একইসঙ্গে বাইডেনকেও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

গত বুধবার (১১ নভেম্বর) সারাবাংলা ডটনেটের নিয়মিত আয়োজন ‘সারাবাংলা ফোকাস’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে অতিথিরা এসব কথা বলেন। ‘বিশ্ব রাজনীতিতে উদারনৈতিক রাজনীতির হালচাল ও আমরা’ শীর্ষক আলোচনায় অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড.আসিফ মোহাম্মদ শাহান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফাহিম তানভীর আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সারাবাংলার সিনিয়র নিউজরুম এডিটর রাজনীন ফারজানা।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফাহিম তানভীর আহমেদ বলেন, আমেরিকা এখন তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণও তাদেরই সবচেয়ে বেশি। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে তারা সবচেয়ে বাজেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে। নতুন যে প্রশাসন আসবে, তাদের প্রথম কাজ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। এছাড়া বাইডেন নির্বাচিত হলেও আমেরিকাতে উদার রাজনীতির জোয়ার হয়েছে, সেটা বলা যাবে না। আমেরিকার রাজনীতি বা প্রশাসন যেভাবে চলে, তাতে বাইডেনের নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে বাইডেনের জন্য সামনের সময়টা সুখকর হবে না।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প নির্বাচন মেনে নিলেও আগামী ২০২৪ সালে ট্রাম্প হয়তো আবার নির্বাচন করবে। আর সেই সম্ভাবনা খুব বেশি। কিন্তু আমেরিকা অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আগামী চার বছর খুব বেশি ব্যস্ত থাকবে। অন্যদিকে উদারনৈতিক রাজনীতির সঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি প্রীতি ছিল। যতটা না রাজনৈতিক, সৌদি আরবের সঙ্গে তার চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। তবে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের উন্নয়ন হবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে রাজনীতিতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের পরিবর্তন হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসিফ মোহাম্মদ শাহান সারাবাংলাকে বলেন, আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রপ্রধান জো বাইডেন হতে যাচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতিতে রাষ্ট্রপ্রধানের একধরনের ভূমিকা থাকেই। একটি কথা শোনা যাচ্ছে— ট্রাম্পের সময়ে যুদ্ধ কম হয়েছে। মোটামুটি শান্তি বিরাজ করেছে। কিন্তু বলা হচ্ছে, বাইডেনের সময় সেটা ঘটবে না। সমস্যা হচ্ছে— এই প্রশ্নের উত্তর সাদাকালো হতে পারে না। কারণ জো বাইডেন এসেই যুদ্ধ শুরু করবেন— সেটি সম্ভব না। এছাড়া নতুন করে বাইডেনের জন্য যুদ্ধে করাটাও কঠিন বিষয়। তবে অনেকগুলো দেশ গণতন্ত্র থেকে সরে এসে স্বৈরাচারতন্ত্রের পথে হেঁটেছে। এমনকি ভারতের মতো দেশ অনেকগুলো অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধ্যানধারণাকে ট্রাম্প খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। এই জায়গাতে মনে হয় বেশকিছু পরিবর্তন আসবে। তবে সাদা চোখে আমেরিকার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কের বড় কোনো পরিবর্তন আমি দেখছি না। ট্রাম্প ইসরায়েলকে যেসব সুবিধা দিয়েছেন, সেগুলো থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমেরিকার যে সম্পর্ক, সেখানে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে।

ড. শাহান বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাইডেনকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। তিনি বাইরের রাজনীতি নিয়ে কতটা মনোযোগ দেওয়ার সময় পাবেন, সেটাই দেখার বিষয়। আমেরিকার জাতীয় ভোটটা ভিন্ন ধরনের। বাইডেনের সামনে অনেক চালেঞ্জ। এছাড়া আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন এজেন্ডা নিয়ে যাওয়া বাইডেনের জন্য খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে না।

জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২০ সারাবাংলা ফোকাস

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর