Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রয়োজন পরিপূর্ণ সমন্বয়’


১৬ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৫৯

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ফাইল ছবি

ঢাকা: পরিপূর্ণতার জন্য সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘সমন্বয়ের মধ্য দিয়েই ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব।’

সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ডিটেল এরিয়া প্ল্যান) নিয়ে ডিএসসিসির কাউন্সিলরবৃন্দের সঙ্গে রাজউকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

মেয়র বলেন, ‘রাজউক বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাসহ এ সকল নীতি-নির্ধারণী বিষয় প্রণয়ন করবে এবং সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নে করপোরেশন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সুতরাং দুটি সংস্থা একটি আরেকটির পরিপূরক, এখানে সাংঘর্ষিক কিছু নাই। তাই পরিপূর্ণতার জন্য আমাদের সমন্বয় প্রয়োজন। সমন্বয়টা আরও সুন্দরভাবে, সুষ্ঠুভাবে করতে পারলেই কিন্তু আমরা ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারব।’

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দের কাছ থেকে যে সকল অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছে, তাদের সেসব বক্তব্য নতুন করে যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে সন্নিবেশ হবে এবং রাজউক সফলভাবে একটি পরিপূর্ণ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারবে।’

রাজউকের নিয়ন্ত্রণে থাকা খেলার মাঠ, শিশু পার্ক ও জলাশয়গুলো দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, ‘ঢাকাকেন্দ্রিক বিশেষ কয়েকটি বিষয় যেমন খেলার মাঠ, শিশুপার্ক, জলাশয়- এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা সিটি করপোরেশনের কার্যাবলির মধ্যে পড়ে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের খেলার মাঠ পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব না। এ দায়িত্ব হলো দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। তেমনি জলাশয় পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। একইভাবে শিশু পার্ক, বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত স্থান পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সুতরাং এই সংক্রান্ত যে জরিপগুলো আপনাদের কাছে আছে বা যে এলাকাগুলো আপনারা চিহ্নিত করেছেন, সেগুলো যদি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন, তাহলে আমরা ঢাকাবাসীর কল্যাণে সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম বলেন, ‘জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো কিছুই টেকসই করা সম্ভব না। এতদিনের যে পরিকল্পনা ছিল, এখানে বসে অনুভব করলাম, বুঝতে পারলাম যে, জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া অনেক কিছুই হয়ে গেছে ইতোপূর্বে। যে কারণে সেগুলো টেকসই করা সম্ভব হয়নি। যদিও বলা হচ্ছে যে, এর আগেও আমরা জনগণের সঙ্গে ইন্টারেকশন করেছি। কিন্তু আজকে আমার মনে হচ্ছে যে, খুব গভীরভাবে, বিস্তারিতভাবে, শাখা-প্রশাখায় প্রসারিত হয়ে প্রত্যেকটা সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সেগুলোর সম্ভাব্য কি সমাধান হতে পারে আজকের আলোচনা থেকে তা উঠে এসেছে।’

সভায় ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমান উল্লাহ নুরী বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভায় রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আজহারুল ইসলাম খান, ডিএসসিসি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।

ডিএপি তাপস রাজউক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর