সেবার মান বাড়াতে মোবাইল টাওয়ার নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে
১৬ নভেম্বর ২০২০ ২১:১২
ঢাকা: মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে একে একে টেলিযোগাযোগ টাওয়ার নির্মাণ করতে যাচ্ছে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স পাওয়া মোবাইল টাওয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও কমিশনের সুশৃঙ্খল রেগুলেটরি কার্যক্রমের ফলে টাওয়ার নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিটিআরসির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, সম্প্রতিকালে বাংলালিংক ও সামিট টাওয়ারস লিমিটেড (এসটিএল)-এর চুক্তির ভিত্তিতে নির্মিত প্রথম মোবাইল টাওয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত টাওয়ারটি প্রতিষ্ঠান দুটির চুক্তির আওতায় নির্মিতব্য মোট ২৫৯টি টাওয়ারের মধ্যে একটি।
অপর টাওয়ারের অপারেটর এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন মঞ্জুরুল হাসান ইতোমধ্যে কমিশনকে জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসে তাদের তিনশ টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল অপারেটর রবির সঙ্গে ১০০ টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এবং পরবর্তীতে ৪৮টি টাওয়ার নির্মাণ করে রবিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাকি ৫২টির নির্মাণ কার্যক্রম এই মাসেই শেষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ‘বিটিআরসি সবসময় নতুন ধরনের নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সম্ভাবনা বিবেচনা করে দেখতে আগ্রহী যাতে টেলিকম অপারেটরগুলো আরও ভালোভাবে গ্রাহকদের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়। টাওয়ারকো নীতিমালা বাস্তবায়ন করে তারা সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।’
সামিট টাওয়ারসের সঙ্গে উল্লেখিত কার্যক্রম সম্পর্কে বাংলালিংক-এর চিফ টেকনোলজি অফিসার পিয়েরে বউট্রস ওবেইদ বলেন, এটি আমাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে নতুন এক অধ্যায়। আমরা বিশ্বাস করি, সামিটের সঙ্গে আমাদের চুক্তি বাংলালিংক-এর নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ভবিষ্যত পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে মানসম্মত সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের এগিয়ে রাখবে।’
সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আরিফ আল ইসলাম বলেন, ‘টাওয়ারকো নীতিমালার আওতায় অনুমোদিত সার্ভিস লেভেল চুক্তির ভিত্তিতে একটি টেলিকম অপারেটরকে টাওয়ার শেয়ারিং সেবা দিতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। আসন্ন ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এটি আমাদের জন্য একটি অনন্য সু্যোগ।’
ইডটকো বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পরিচালক (প্রকৌশল) সাব্বির আহমেদ কমিশনে অনুষ্ঠিত এক সভায় জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে টাওয়ার নির্মাণ কার্যক্রম চালু রেখেছে। তবে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনায় কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা তিনি তুলে ধরেন। কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট যেকোন ইস্যু স্বল্পতম সময়ে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তবে বাজার প্রতিযোগিতায় আইন ও বিধানের বাইরে কাজ করলে তার বিষয়ে কঠোর রেগুলেটরি হস্তক্ষেপের বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের প্রধান আনিস আহমেদও জানিয়েছেন, ‘তারা বিভিন্ন অপারেটরের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলাপ আলোচনায় প্রায় শেষের দিকে রয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই দেশের বিভিন্ন স্থানে টাওয়ার নির্মাণ শুরু করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বিটিআরসি কর্তৃক চারটি টেলিকম টাওয়ার লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়। লাইসেন্সিং নীতিমালা অনুযায়ী টাওয়ার কোম্পানিগুলো মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ করে সেগুলো মোবাইলফোন অপারেটরদেরকে সার্ভিস ফির বিনিময়ে ব্যবহার করতে দিতে পারবে।