Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘খাদ্য ও ইন্টারনেটের অধিকারকে আইনে রূপ দিন’


১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ২২:০৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘খাদ্য অধিকার আইন ও ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আইনে রূপ দেওয়ার মাধ্যমেই দারিদ্র্য বিমোচনের সদর দরজা উন্মুক্ত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে ভারতে আইন রয়েছে। আমাদের দেশেও এ আইন প্রয়োজন।’

‘দারিদ্র্য বিমোচন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে আমাদের করণীয়’জাতীয় কনভেনশনের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রোববার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে এ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দিপু মনির সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন— আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএসএম মাহবুবুল আলম, শিশির শীল ও সেন্টাল ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডির) গবেষণা পলিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ইন্টারনেট হচ্ছে এ প্রযুক্তির বাহন। প্রতিটি মানুষের ক্ষমতায়নে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ আবশ্যক। তাই ইন্টারনেটের অধিকার আজ একটি মৌলিক অধিকার। এ কারণেই খাদ্য অধিকার আইন ও ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আইনে রূপ দেওয়ার মাধ্যমেই দারিদ্র্য বিমোচনের সদর দরজা উন্মুক্ত হবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা ও শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে তিনি সমাজতন্ত্র রেখেছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। অতীতের সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক শাসকেরা তা কেটে লাগামহীন বাজার অর্থনীতির কাছে দেশকে ইজারা দিয়েছিল।’

এ সময় তথ্যমন্ত্রী সংবিধানের ১৫, ১৬, ১৭, ১৯, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীসহ সকলের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করেন।

সারাবাংলা/জিএস/আইজেকে


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর