কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
১৭ নভেম্বর ২০২০ ১৪:৫৫
ঢাকা: রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিরা হলেন— উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খায়রুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম এবং সোর্স দেলোয়ার হোসেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মামলাটির আবেদন জমা দেন ব্যবসায়ী মো. রহিম। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আগামী ৩ ডিসেম্বর আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলার আবেদন জমা হয়েছে। বিচারক নথি পর্যালোচনা শেষে ৩ ডিসেম্বর আদেশ দেবেন।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর ভিকটিম রহিম সন্ধ্যায় কাজ শেষে চরকালিগঞ্জ জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া ব্রিজের ওপর এলে অজ্ঞাতনামা তিনজন লোক তার গতিরোধ করেন। তারা নিজেদের ঢাকা জেলা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে, রহিমের নামে ডিবিতে মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে বলে জানায়।
এরপর রহিমকে একটি দোকানে নিয়ে তল্লাশি করে তারা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। এরপর ওই অজ্ঞাতনামা তিন জন রহিমকে সিএনজিতে করে নিয়ে বাবুবাজার ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার উপস্থিত ছিল। এ তিন আসামি নিজেদের কাছ থেকে ৬৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বের করে বলে, ‘যদি ফাঁসতে না চাস তাহলে দুই লাখ টাকা জোগাড় কর। না হলে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবো।’
এজাহারে আরও বলা হয়, এ থেকে বাঁচার জন্য রহিম তার কাছে থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেন, নগদ ১৩ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেয়। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রহিম তাদের ৫০ হাজার টাকা দেয়। দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দিতে আদালতে পাঠানো হয়। এরপর ১৭ দিন জেল খেটে ৩০ অক্টোবর মুক্তি পান রহিম।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনও করা হয়েছে।