নির্দেশনা না মেনে কিশোরগঞ্জে ‘কোচিং-প্রাইভেট’ চালু করার অভিযোগ
১৭ নভেম্বর ২০২০ ১৮:০৭
কিশোরগঞ্জ: করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোচিং ও প্রাইভেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত অনলাইনে ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে কিশোরগঞ্জে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কিছু শিক্ষক ‘প্রাইভেট বাণিজ্য’ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই শিক্ষকরা তাদের বাসা বা ভাড়া বাসায় একসঙ্গে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থীকে গাদাগাদি করে বসিয়ে পড়ান। স্থানীয় ব্যক্তিরা এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও ওই শিক্ষকরা কিছুই মানছেন না।
উপজেলার সদর, পৌর শহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অনেকটা প্রকাশ্যেই প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষক তাদের শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ ও পোশাক ব্যবহার না করে চটের ব্যাগে পাঠ্যবই নিয়ে বাসায় ঢুকিয়ে গেট বন্ধ করে পড়াচ্ছেন। নানা কৌশলে প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে তারা প্রাইভেট চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন সরকারি ও নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন এমন কিছু শিক্ষকও প্রাইভেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। প্রাইভেট ও কোচিং নিষিদ্ধ করার পর বেশ কিছুদিন তারা পড়ানো বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু আবারও আগের মতোই প্রায় প্রকাশ্যেই প্রাইভেট বাণিজ্য শুরু করেছেন। করোনার মধ্যে কোচিং সেন্টার খোলা রাখায় ইতিমধ্যে ৪ টি কোচিং সেন্টারকে জরিমানাসহ সিলগালা করা হয়েছে এবং সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কোচিং বাণিজ্য কমিটি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য ও পৌর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী বলেন, কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সরকারী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু শিক্ষক শপিং মল চালু করেছেন। যে মলে শিক্ষাকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পণ্য বিক্রেতা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সরকার শক্ত ভূমিকা নেবে।