মাদক নিরাময় কেন্দ্রসহ ৩ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা
১৭ নভেম্বর ২০২০ ১৯:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিকসহ তিনটি চিকিৎসা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২৯ নম্বর সড়কে ‘মন’ নামে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এছাড়া আনোয়ারা উপজেলায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (চট্টগ্রাম-মেট্রো) মো. রাশেদুজ্জামান সারাবাংলাকে জানান, মাদক নিরাময় কেন্দ্রটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো লাইসেন্স নেই। শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তারা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছিল। সেখানে কোনো ডাক্তার নেই। অভিযানের সময় ১২ জনকে ভর্তি পাওয়া যায়। মালিক মো. ইমরান অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান।
রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘১২ জন রোগী আমরা পেয়েছি। এদের মধ্যে মাদকাসক্ত নন এমন আছেন অন্তঃত তিনজন। ৬০ বছরেরও বেশি বয়সী শাহ আলম নামে একজনকে পেয়েছি। ভাইদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে সেখানে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। একজন কিশোরকে পেয়েছি, সে সিগারেটও খায় না। এলাকায় চুরি-চামারি করে, বাবা তাকে নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে দিয়েছে। এভাবে তো একটা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র চলতে পারে না। আমরা ১২ জনকে উদ্ধার করে তিনজনকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দিয়েছি। বাকি ৯ জনকে নগরীর নাসিরাবাদে সরকারি বিভাগীয় মাদকসাক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম নগরীতে ১৬টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ এবং দুটি অবৈধ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বন্ধ করা হয়েছে। আরেকটিতে বুধবার অভিযান চালানো হবে।
এদিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী এলাকায় ‘জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ ও কালীবাড়ি মোড়ে ‘আইডিয়াল ক্লিনিকে’ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ জানিয়েছেন, দুটি প্রতিষ্ঠানেরই স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো অনুমোদন নেই। সেখানে ডাক্তার-নার্স এমনকি প্রশিক্ষিত মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্টও পাওয়া যায়নি। দুই প্রতিষ্ঠানকেই সিলগালা করা হয়েছে।