‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে’
১৮ নভেম্বর ২০২০ ২০:১১
ঢাকা: দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও সার্বক্ষণিক নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে এ কথা বলেন। বুধবার (১৮ নভেম্বর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
জাপা সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানসহ জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত ও বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসী, ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ নিয়মিত মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। জনগণের নিরাপদ বসবাস নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিবা ও রাত্রীকালীন টহল জোরদার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দল যেন গুজব ও বিভ্রান্তমূলক তথ্য প্রচার করে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না করতে পারে, সেদিকেও সরকার নজর রেখেছে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিবিড়ভাবে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের আরেক প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী জেলা বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার চকপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে সর্বপ্রথম ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন। জাতির পিতার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ভূমিহীন-গৃহহীন-অসহায় পরিবার পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাসস্থান নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে এ ধরণের ঘোষণা ও কর্মসূচি বিশ্বের আর কোনো সরকার প্রধান এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেননি। মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না— এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং করোনা মহামারির অভিঘাত সত্ত্বেও প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার নীতি নিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। ফলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় হয়েছে। এছাড়া সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নে রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে।
ফাইল ছবি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্নোত্তর পর্ব সংসদ অধিবেশন