মিয়া মাসুদের চাকরি পুনঃবহালের দাবি, একাত্ম আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো
১৮ নভেম্বর ২০২০ ২২:৪০
ঢাকা: গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মাসুদ ও গ্রামীণফোনের ১৮০ জন কর্মীকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবির সাথে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনগুলো একাত্মতা প্রকাশ করেছে। চাকরিচ্যুত গ্রামীণফোন কর্মীদের অতিসত্বর যাতে চাকরিতে পুনর্বহাল করা সেজন্য সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতির সকল কপি সারাবাংলার হাতে রয়েছে। বিবৃতি দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-ইউনি গ্লোবাল, ইউনি এশিয়া, ইউরোপিয়ান কান্ট্রিস ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশন।
ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের মধ্যে রয়েছে, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া ও মন্টেনিগ্রো। ইউরোপিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন এন্ড ফেডারেশনস ফ্রোম সুইডেন, আয়ারল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার এসোসিয়েশন অব ট্রেড ইউনিয়ন, মালয়শিয়ার ইউনি মালয়শিয়া লেবার সেন্টার ও ইউনি এপ্রো, ইউনি শ্রীলঙ্কা এফিলিয়েটস কাউন্সিল, ফিলিপাইনস সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। এর আগে ইন্ডিয়া ও নেপালের শ্রমিক ইউনিয়ন মিয়া মাসুদকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবর এক ইমেইল বার্তায় মিয়া মাসুদকে চাকরিচ্যুত করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ। তার আগে ১৮০ জন কর্মীকে বিনা কারণে ওএসডি করে গ্রামীণফোন। চাকরিচ্যুত কর্মীদের স্বপদে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এর মধ্যে গ্রামীণফোন হেড অফিস, বিজয়নগর শ্রম ভবন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিটিআরসি, রবীন্দ্র সরোবর, শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্যরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি করা হয়েছে। তাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে বিভাগীয় এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও। চার সপ্তাহ হয়ে গেছে তবুও গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।
গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক বলেন, যতদিন চাকরিচ্যুত কর্মীদের চাকরি ফিরিয়ে না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে। সামনে এই আন্দোলন আরো বৃহদাকারে ছড়িয়ে পড়বে। আন্তার্জাতিক সম্প্রদায় এরইমধ্যে আমাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছে। সামনে আরো বড় পরিসরে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ পাবে। তাই গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের উচিত হবে অতিসত্বর চাকরিচ্যুত কর্মীদের স্বপদে ফিরিয়ে নেওয়া।