Friday 04 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ে আরও তথ্য— এবার ৯৫% কার্যকরের দাবি


১৮ নভেম্বর ২০২০ ২২:৩২ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ২২:৫০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আরও তথ্য হাতে এসেছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী এই ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি প্রতিষ্ঠান দুইটির। এর মধ্যে ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছে তারা।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়, যেসব স্বেচ্ছাসেবীর ওপর তাদের এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ১৭০ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করে ৯৫ শতাংশ কার্যকর হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ও দেখা যায়নি। এর আগে ৯৪ জন স্বেচ্ছাসেবীর তথ্য বিশ্লেষণ করে ফাইজার জানিয়েছিল, তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকর

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ফাইজারের করোনা টিকার পরীক্ষামূলক বিতরণ শুরু

ফাইজার ও বায়োএনটেক বলছে, গবেষণার এই তথ্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এবারে তারা জরুরিভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণা শুরু করে। বিশ্বের শতাধিক দেশে এরই মধ্যে বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে, যেগুলো নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এরই মধ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিনসহ বেশকিছু ভ্যাকসিন পরীক্ষার তৃতীয় ধাপ তথা মানবশরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে।

ফাইজার-বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিনটি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্কে প্রয়োগ করা হয়েছে। ৪১ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছে দু’টি করে ডোজ। তাতে গত সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুইটি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফল বিশ্লেষণের এই তথ্য আশাব্যঞ্জক। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ট্রুডি ল্যাংক বলেন, এটি উল্লেখযোগ্য একটি অগ্রগতি। নতুন কোনো একটি ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এত দ্রুত বেশকিছু ভ্যাকসিনের প্রায়োগিক পর্যায়ের এই সাফল্য বিজ্ঞানের জন্য অসামান্য মাইলফলক।

এক বিবৃতিতে ফাইজারের প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা বলেন, গত আট মাস ধরে তারা যে এই ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে কাজ করছেন, এ ক্ষেত্রে গবেষণার নতুন এই তথ্য একটি মাইলফলক। তারা আশাবাদী, করোনা মহামারি ঠেকাতে কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরির দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছেন।

ফাইজারের এই করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সম্পূর্ণ তথ্য এখনো হাতে না এলেও প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এখন পর্যন্ত তাদের পাওয়া তথ্যে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি পাওয়া যায়নি। তবে যেসব স্বেচ্ছাসেবীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তাদের ২ শতাংশের মধ্যে মাথা ব্যথা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা গেছে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এমন প্রভাব একেবারেই ন্যূনতম পর্যায়ে ছিল।

ফাইজার বলছে, তারা তারা এ বছরের শেষ নাগাদ এই ভ্যাকসিনের পাঁচ কোটিরও বেশি ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। ২০২১ সাল নাগাদ ১৩০ কোটি ডোজ উৎপাদনের বিষয়ে তারা আশাবাদী। তবে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ‍ঋণাত্মক ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় এই ভ্যাকসিন।

করোনাভাইরাস করোনার ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ ফাইজার বায়োএনটেক ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর