বাংলাদেশে বাণিজ্যে আগ্রহী ফিনল্যান্ডের কোম্পানি
১৯ নভেম্বর ২০২০ ২০:২৬
ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফিনল্যান্ডের কোম্পানিগুলো। আগামী ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘বাইল্যাটেরাল বিজনেস ইভেন্ট’-এ ফেডারশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে ফিনল্যান্ড চেম্বার অব কমার্স (এফসিসি)।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ‘বাইল্যাটেরাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন দ্য অনগোয়িং গ্লোবাল প্যানডেমিক অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক এফবিসিসিআই ক্লাউড কনফারেন্সে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের স্বাগত বক্তব্য শেষে আগ্রহের বিষয়টি উত্থাপন করেন এফসিসি’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও জুহো রোমাক্কানিয়েমি। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এফবিসিসিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
এফসিসি’র প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের আসন্ন সম্পৃক্ততায় কিছু মূল ধারণা ও এজেন্ডার বিষয়ে উভয়পক্ষকেই সম্মত হতে হবে। যেসব ফিনিশ প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রযুক্তি সুবিধা নিয়ে আসবে, তাদের এমন গতিশীল অর্থনীতি, শক্তি, লজিস্টিক এবং ডিজিটাল সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি খাতে এমন সুযোগ-সুবিধা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশি পণ্যগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি (ইবিএ) নীতিমালার অধীনে ফিনল্যান্ডে শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা পেয়ে থাকে, কিন্তু ফিনল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য তুলনামূলক সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম।’
বর্তমানে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল ২৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১৬৫.৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কমেছে আমদানি-রপ্তানিও। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি ছিল ২০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে হয়েছে ১৩০.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে রফতানি কমেছে ৪.৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরার পাশাপাশি বাণিজ্য পুনরুদ্ধার ও বৈচিত্র্য খুঁজে বের করা প্রসঙ্গে প্লাস্টিক, জেনেরিক ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের বিকল্প হিসাবে পাটজাতীয় পণ্যসমূহ, চামড়া ও পাদুকা পণ্য, বিশেষায়িত টেক্সটাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, এফএমসিজি, কৃষি-প্রক্রিয়াজাত পণ্যসমূহের সম্ভাবনার বিষয় উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। আইসিটি, স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম, স্কিলস, এডিআর, অ্যাপ্লাইড রিসার্সসহ সংশ্লিষ্ট খাতে ফিনল্যান্ডের কাটিং-এজ প্রযুক্তি সহায়তার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক ভ্যালু চেইন ইনিশিয়েটিভের বিষয়টি চিহ্নিত করেন ফাহিম।
ক্লাউড কনফারেন্সে এফসিসি‘র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট টিমো ভৌরি এবং ফিনল্যান্ড-আসিয়ান বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল জেনি ইসোলা বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের সামনে এফবিসিসিআই ইমপ্যাক্ট ৪.০ সম্পর্কে অবহিত করেন, যার মধ্যে আছে এফবিসিসিআই এডিআর সেন্টার, টেক সেন্টার, স্কিল ল্যাব, এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট, এফবিসিসিআই ইউনিভার্সিটি, ইকোনমিক অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ সেন্টার, মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ/সেমিনার/স্কিলস অডিটোরিয়াম ও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে পার্টনারশিপে ফেডারেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এলডিসি ও এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ইত্যাদি।