বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নদীতে ফেলার হুমকিদাতাদের গ্রেফতার দাবি
২০ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৪৮
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে নদীভে ফেলে দেওয়ার হুমকিদাতা এবং মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা আগুন সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক মিয়া, ডা. আব্দুস সালাম, কাজী মফিজুল হক, হাজী শাহাবুদ্দিন, মো. দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল খায়ের বাচ্চু মোল্লা, হাসান নাসির মিলন, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাকিল খান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. আবু তাহের, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য অপূর্ব, মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, ফ্রান্স বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সভাপতি শাহজাহান শাহি, সৌদি আরব প্রতিনিধি মো. আজাদ, কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা মহানগর সভাপতি বেলাল শাহ, সংগঠনের মহানগর নেতাদের মধ্যে সহ সভাপতি শেখ জালাল আহমেদ, জাহিদ হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম ডাবলু, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ, ধানমন্ডি থানা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান, রামপুরা, কদমতলী এবং সিঙ্গাইর উপজেলার নেতারা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও মশিউর মালেক বলেন, ‘ভাস্কর্য কোনো মূর্তি নয়, ভাস্কর্য যে কোনো দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতীক। একটি জাতির গৌরব গাঁথা সে দেশের জাতীয় নেতা, বীর ও সংগ্রামের চিত্র ভাস্কর্যের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়। যুগের পর যুগ যে কোনো দেশের ভাস্কর্য সমূহ জাতির ঐতিহ্য ধরে রাখে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। তার আজীবন লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জাতির এ ইতিহাস জানাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সহ সকল জাতীয় নেতাদের স্বাস্থ্য ইতিহাস রক্ষার স্বার্থে দেশের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য স্থানে স্থাপন করতে হবে। আজকে একটি গোষ্ঠী যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের নেপথ্য মদদে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে তা ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। অথচ ইসলামে কোথাও ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। মূর্তি হলো যে প্রতিকৃতির পূজা করা হয়। যারা ভাস্কর্য কে মূর্তি বলেন তারাই প্রকৃতপক্ষে মূর্তি পূজারি। তাই যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি দিয়েছে তারা অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হবে।’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশব্যাপী পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। রংপুরে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে, মুরাদনগরে সংখ্যালঘুদের গ্রাম জ্বালিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু ধর্ষণ করাসহ গ্যাং রেপ করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।