ক্যানসার আক্রান্ত শম্পাকে বাঁচাতে সহযোগিতার আকুতি সহপাঠীদের
২১ নভেম্বর ২০২০ ২৩:০৯
ঢাকা: ঢাকায় রেখে ঢাকার কোনো প্রতিষ্ঠানে মেয়েকে পড়াশুনা করাবেন, এমন সামর্থ শম্পা সরকারের দরিদ্র পরিবারের ছিল না। মামার বাসায় থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল বলেই সরকারি তিতুমীর কলেজে মেয়েকে ভর্তি করার সাহস পেয়েছিলেন শম্পার মা-বাবা। থাকা-খাওয়ার জন্য টাকা খরচ করতে হতো না। তবে বই-খাতা কেনার জন্য টাকা তো লাগবেই, এসব বহন করতে গিয়েই দরিদ্র পরিবারটির নাভিশ্বাস উঠে যাওয়া জোগাড়।
ওদিকে অর্থাভাবে ছোট দুই মেয়ের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে। তিন বোনের সংসারে শম্পা সবার বড়। শম্পার মা ভাবছিলেন, একসঙ্গে তিন সন্তানের পড়াশুনার খরচ বহন করা সম্ভব নয়। মেধাবী শম্পাকে ভালোভাবে পড়াশুনা শেখাবে, সে চাকরি পাবে, তাদের দরিদ্র সংসারের দুঃখ লাঘব হবে। কিন্তু বিধাতা যে অন্যটা লিখে রেখেছিলেন শম্পার মা কী আর সেটা জানতেন! মরণব্যাধি ক্যানসার বাসা বেঁধেছে শম্পার শরীরেই।
তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শম্পার বিয়েও ঠিক হয়ে ছিল। পছন্দের ছেলের সঙ্গে পরিচয় ছিল পরিবারের। দুই পরিবারের সম্মতিতে কথা ছিল, উপযুক্ত সময়ে বিয়ে করে নেবেন। এত আয়জন, এত স্বপ্ন যার, সেই মেয়েটির এখন শ্বাস নেওয়ার শক্তিটুকুও নেই। ক্যানাসর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। আর অসহায় দরিদ্র পরিবারটি ক্যানসারে আক্রান্ত মেয়েকে নিয়ে মাস খানেক ধরে দিকবিদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন। না পারছে মেয়ের দিন দিন নিঃশ্বেস হয়ে যাওয়ার দৃশ্য সহ্য করতে, না পারছে চিকিৎসার খরচ বহন করতে।
এই অবস্থায় শম্পার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সহপাঠীরা। তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শামিম হোসেন শিশিরের উদ্যোগে কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও সবগুলো সংগঠন একত্রিত হয়ে শম্পার চিকিৎসায় অর্থ সংগ্রহের জন্য কাজ করছে। নিজেরা আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে কলেজভিত্তিক সংগঠনগুলো ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মেধাবী শিক্ষার্থী শম্পার চিকিৎসা খবরচ যোগাতে আপনিও এগিয়ে আসুন।
সাহায্য পাঠাতে: বিকাশ পার্সোনাল ০১৭৭৫১৬২৩৩০ (মায়ের নাম্বার) এবং ০১৩০৬৩৮২১৩২ (বাবার নাম্বার)