আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার সাবেক গুপ্তচর সার্গেই স্প্রিগাল ও তার মেয়েকে যুক্তরাজ্যে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগে ২৩ রাশিয়ান কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাজ্য। গত ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম একযোগে এতো বেশি কূটনীতিককে বহিষ্কার করলো দেশটি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে বলেন, বিষপ্রয়োগে গুপ্তচর হত্যার ব্যাপারে কারণ ব্যাখার জন্য সোমবার রাশিয়াকে সময় দেওয়া হয়েছিলো। তারা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মিলিটারি গ্রেডের নার্ভ এজেন্ট ‘বিষ’ প্রয়োগকে তারা ইউরোপে একধরণের ব্যঙ্গাত্বক কর্মকাণ্ড হিসেবে নিয়েছে। এটা তাদের এক ধরণের অবাধ্যতা, যুদ্ধংদেহি মনোভাব।
মিস্টার স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ ছাড়া আর কিছু নয়। এ ছাড়া এটা ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্যেও জীবনের হুমকি স্বরুপ।
গত ৪ মার্চ রাশিয়ান গুপ্তচর স্ক্রিপাল (৬৬) ও তার মেয়ে জুলিয়া স্ক্রিপালকে যুক্তরাজ্যের স্যালিসবেরিতে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে।
এ ঘটনার পরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টেরিজা মে। এ ছাড়া রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভেরভের যুক্তরাজ্য ভ্রমণ ও তদন্তের আবেদন প্রত্যাখ্যানও করেন তিনি।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ইংল্যান্ডের রাজ পরিবার ও মন্ত্রীসভার সদস্যরা রাশিয়ান অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন না।
বহিষ্কার হওয়া কূটনীতিকদের ‘অঘোষিত গোয়েন্দা কর্মকর্তা’ হিসেবে উল্লেখ করে টেরিজা মে বলেন, তাদের যুক্তরাজ্য ত্যাগ করতে এক সম্পাহ সময় দেওয়া হয়ে।
সারাবাংলা/এমআই